সাংবাদিক নির্যাতনে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এটি সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি প্রতিরোধ ও শাস্তি নিশ্চিত করবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী বলেন, “গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব।” অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি বা হয়রানি করলে দোষী ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

এর মধ্যে রয়েছে—১. সাংবাদিকদের পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষা,২. সহিংসতা, হুমকি, যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা,৩. ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক তথ্য প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না, ৪. মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে,৫. এবং কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার বিনিয়োগকারী বা পরিচালক দায়ী হবেন, যদি প্রমাণ না করেন যে সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে বা রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের জীবন, স্বাধীনতা, গোপনীয়তা, সুনাম ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারের ও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব স্পষ্ট করা হয়েছে। অভিযোগ জমা দেওয়া ও বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত ও কার্যকর করার জন্য প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়ী করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সোলেমান আলী জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও অংশীজনদের মতামত সংগ্রহের পর অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা হবে। এই অধ্যাদেশ কার্যকর হলে সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি আরোপ সম্ভব হবে

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত