সন্ত্রাসীরা আমাদের পুরা টিমকে প্রায় ঝাঝরা করে ফেলেছিলঃ ওসি মোহাম্মদ মহসীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজকের কর্ণফুলী ডেস্কঃ

নগরের কোতোয়ালী থানাধীন আছাদগঞ্জ শুটকি পল্লী এলাকায় আসামি ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন পুলিশসহ সাত জন।আহত অবস্থায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্ত্রাসী মো. ওয়াসিম (৩৫)। ওয়াসিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে বলে জানান কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।এই ব্যাপারে তিনি আরো বলেনঃ পুরা ব্যাপারটা ছিল ভিডিও গেইমসের মতো।পুরাটাই কোনো মুভির শ্যুটিং মনে হচ্ছিল।আমরা কি করছিলাম কিছুক্ষন তা আমরা ভুলে গিয়েছিলাম।এ যেন মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা!একটু ডানদিকে না ঘুরলেই বুকটা ঝাঝরা হতে পারতো এএসআই মাহাবুবের। বসে না গেলে গুলিতে খুলিটা উড়ে যেতে পারতো এএসআই সুকুমারের। বডিগার্ড রাসেল সামনে এগিয়ে পাঁচ রাউন্ড গুলি না করলে একটা গুলি বিধতে পারতো আমার বুকেও। মুহুর্তের ভুলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো এএসআই আরেফিন, কনস্টেবল সালাউদ্দিন, জাকির, শাহাজান কিংবা রণজিৎ এর জীবনে। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা সবাইকে রক্ষা করেছেন বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে। আসাদগঞ্জের মূর্তিমান আতঙ্ক, পুলিশের উপর হামলার হোতা, ১৪ মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী ওয়াসিমকে গ্রেফতার করতে বিকেলে আসাদগঞ্জ কলাবাগিচা এলাকায় যাই আমরা টিম কোতোয়ালি।ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্রই আমাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে ওয়াসিম ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। এমন অপ্রত্যাশিত আক্রমণে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি আমরা। পরে পরিস্থিতি সামলে অল আউট একশনে যাই। এসময় উভয়পক্ষে গুলি বিনিময় হয়। প্রায় আধঘণ্টা পর পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওয়াসিমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় তার সহযোগী সাজ্জাদকেও। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের আহত সহকর্মীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অসাধারণ সাহস আমার সহকর্মীদের। যমদূত প্রায় সামনে থাকলেও ভড়কে যায়নি ওরা। মুহুর্মুহু গুলির মুখেও পিছু হটেনি ওদের কেউই। প্রায় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও লক্ষ্য থেকে বিচ্যূত হয়নি তারা। এমন একটি টিমের নেতৃত্বে থাকতে পেরে সত্যিই

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত