
মো: নাজমুল সাঈদ সোহেল,চকরিয়া (কক্সবাজার)
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্তে¡ও তা উপেক্ষা করে অবৈধ উৎকোচের বিনিময়ে ক্ষতিপূরণের প্রায় ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র। এনিয়ে ভূক্তভোগীরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভূক্তভোগী জমি মালিক পক্ষের মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মঈনুল হক, শহিদুল হক, রাশেদুল হক, মুর্শেদুল হক ও এরফানুল হক অভিযোগে জানান, তারা চিরিংগা মাতামুহুরী ব্রীজের অধিগ্রহণকৃত দক্ষিণ পূর্ব পার্শ্বের জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিস সংলগ্ন চিরিংগা মৌজার বিএস খতিয়ান নং ৭৩৬ ও ৭৫৪, রোয়েদাদ নং ২০,২৮,২৬ ও ৩১, এলএ মামলা নং ১০/২০১৭-২০১৮ এ অধিগ্রহণে ০.১৫ ও ০৮ শতক জমি আওতায় পড়েছে। উক্ত ৩৩ নং খতিয়ান থেকে তারা সর্বপ্রথম বিগত ১৮ নভেম্বর ১৯৭৪ সনে ৩২০২ নং কবলা গ্রহণ করেন। কিন্তু উক্ত কবলা গ্রহীতাদের বাদ দিয়ে ভূয়া ও কথিত বিএস খতিয়ান সৃজনের মাধ্যমে অনের জমি এবং অবকাঠামো অধিগ্রহণের সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা বিতরণ কার্যক্রমে সুকৌশলে আদায়ের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইতিপূর্বে উল্লেখিত জমির স্বত্তে¡র বিষয়ে যুগ্ম জেলা ২য় জজ আদালত,কক্সবাজার-এ মিচ মামলা নং ৩৮/২০১০, যুগ্ম জেলা ২য় জজ আদালত,কক্সবাজার-এ অপর মামলা নং ৩৪০/২০১৪ইংসহ পৃথক মামলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আদালতে আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে নামজারী আপিল মামলা নং ১১/২০১৫ চলমান রয়েছে। এরপর জনৈক মো: এহেছান প্রকাশ দুবাই এহেছান, ডা: সোলতান আহমদ সিরাজী ও জম জম হাসপাতালের এমডি গোলাম কবিরসহ জনৈক ব্যক্তিরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার কতিপয় কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে নতুন সেতু নির্মাণের জমির ক্ষতি পূরণের আবেদনকারী ভূক্তভোগীদের প্রায় ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। তারা আবেদন করেন, সরকারি আমলারা উক্ত জমির প্রকৃত মালিকের দখল এবং কাগজপত্র যাছাই না করে অন্যায়ভাবে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিলে ভূক্তভোগীদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই মামলা সমূহ নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত প্রয়োজনে সরে জমিনে পূণরায় তদন্ত করে ক্ষতিপূরণ প্রদানে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগীরা।
বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট ও ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো.শহিদুল হক বলেন, জমি অধিগ্রহন ও ক্ষতিপুরণের টাকা বিতরণের ক্ষেত্রে কোন ধরণের অনিয়ম হবেনা। কিছু কিছু ভুমি মালিক ক্ষতিপুরণের টাকা প্রাপ্তি নিয়ে অভিযোগ করায় সরেজমিন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বৈধ কাগজপত্র অর্থাৎ খতিয়ানমুলে যিনি জমির মালিক তিনিই ক্ষতিপুরণের টাকা পাবেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে জমিতে দখলকারক হিসেবে যিনি আছেন তিনিও সুবিধার আওতায় আছে। ##
শেখ হাসিনা,চকরিয়া
চকরিয়ার নির্যাতিত আওয়ামী পরিবার পল্টুর
মাকে প্রধানমন্ত্রীর ২০ লাখ টাকা অনুদান
মো: নাজমুল সাঈদ সোহেল,চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়ার তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা ও উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিঠুর মা আনোয়ারা বেগমের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে তাকে এ অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌর এলাকা বাসিন্দা বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের (২০০১-২০০৬) নির্মম নির্যাতনের শিকার আনোয়ারা বেগমের পরিবারকে উক্ত আর্থিক সহায়তার টাকার একটি চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে আনোয়ারা বেগমের দুই ছেলে মোজাফফর হোসেন পল্টু ও সাদ্দাম হোসেন মিঠু সক্রিয়ভাবে আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কারণেই তৎকালীন জোট সরকার এই পরিবারের উপর জেল-জুলুম ও অবর্ণনীয় অত্যাচার চালায়। ##
ছবি আছে। কাকারা বনবিট।
চকরিয়ায় বনবিট নার্সারীর ৯০ হাজার
চারা গাছ নষ্ট করে দিয়েছে বনদস্যুরা
মো: নাজমুল সাঈদ সোহেল,চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখাী রেঞ্জের আওতাধীন কাকারা বনবিটের নার্সারীতে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করে ৯০ হাজার চারা গাছ নষ্ট করে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। গত ২৪ এপ্রিল ভোরে কাকারা শাহওমারাবাদ চাইল্যাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার উপপরিদর্শক চম্পকের নেতৃত্বে পুলিশ ২৭ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নার্সারীর ৯০ হাজার বিষাক্ত রাসায়নিক ছিটিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার সত্যতা পান।
কাকারা বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, কাকারা বনবিট এলাকায় ২০১৮-১৯ সনের সরকারি সংরক্ষিত বনা লের ৩০ হেক্টর নতুন বনায়ন সৃজনের জন্য কাকারা মৌজার আর এস ৪৮৫০ দাগের উপর বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছের নার্সারী করেন। কিন্তু এলাকার প্রায় ২০ জনের বনদস্যু দুস্কৃতিকারী বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করে এসব চারা গাছ নষ্ট করে দিয়ে বনায়নে বাধা সৃষ্টি করেছে। এমনকি বনদস্যুরা নার্সারী নষ্ট করে দেওয়ার পর একত্রিত হয়ে বনায়ন সৃজন বিরোধী সভাও করেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন কাকারা বনবিট কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তিনি এ ঘটনায় থানায় এজাহার জাম দিয়েছেন বলে জানান।