
মোঃ নাজমুল সাঈদ সোহেল(চকরিয়া)কক্সবাজারঃ
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে একটি শালিসী বৈঠক শেষে বের হতেই শালিসকার সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুর রহমান (৩৪)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। গুরুতর আহত সাইফুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৫ মে বিকাল ৫টায় ডুলাহাজারা ইসলামিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গনে ঘটেছে এ ঘটনা। আহত সাইফুল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ষোলহিষ্যা গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মেম্বারের পুত্র। অভিযোগে জানাগেছে, ষোলহিষ্যা গ্রামের মনজুর আলমের পুত্র ছাদেক উল্লাহ গংয়ের সাথে একই এলাকার কিছু উশৃংখল লোকজনের মধ্যে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটলে এনিয়ে ছাদেক গং থানায় মামলা (নং ৫১/জিআর ১৯২) দায়ের করেন। ওই মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ডুলাহাজারা ইসলামিয়া মাদরাসায় উভয়পক্ষের লোকজন নিয়ে শালিসী বৈঠক হয়। এতে শালিসকার ছিলেন মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনছুর আলম,যুবলীগের সাবেক সভাপতি এহছানুল হক, প্রভাষক মঈনুদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ড এমইউপি ফরিদুল আলম ও সাবেক মেম্বার সাইফুর রহমান। শালিসী বৈঠক শেষে মামলায় অভিযুক্ত আসামী একই এলাকার নুরুল আলমের পুত্র মুবিনুল হক, মীল কাসেম, মনজুর আলমের পুত্র আরিফুল ইসলাম, আবু তাহেরের পুত্র রেজাউল করিম, মৃত নজির আহমদের পুত্র কাইছার হামিদ ও আবু বক্করের পুত্র মোক্তার আহমদসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শালিসকার ও সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করে। তার মাথার বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গা গ্লাসের অংশ ঢুকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণের কারণে বর্তমানে এলোমেলো কথাবার্তা বলছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনার বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।