
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় স্ত্রীর সাথে স্বামীর ঝগড়া ও স্ত্রীর পরকিয়ার সন্দেহের জের ধরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী । বৃহস্পতিবার ৩০ মে সকালে টেকনাফ উপজেলার মেরিনড্রাইভ ঝাউবাগানে এঘটনাটি ঘটে। আত্মহননকারী কারী ৩ কন্যা সন্তানের জনক ও রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা যায়। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজার ছড়া গ্রামের বাসিন্দা, মায়ানমার নাগরিক মৃত আবদুর রশিদের পুত্র লাল মোহাম্মদ ওরফে লাল মিয়া (৩৫)
স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, সকাল ১০টায় মেরিনড্রাইভ ঝাইবাগান হতে ঝুলন্ত অবস্থায় লাল মোহাম্মদ ওরফে লাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুত্রে আরো জানায়, গত ১৬/১৭ বছর পূর্বে মায়ানমার থেকে এসে মৃত লাল মিয়া রাজারছড়া এলাকায় আশ্রয় নেয়। এবং স্থানীয় মুজিবুর রহমানের মেয়ে লায়লা বেগমকে বিয়ে করে ঘর সংসার করে আসছে। তাদের সংসারে তাসলিমা (১১), আমিনা (৮), মরিয়ম (৫) নামে ৩কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ছোট মেয়ে মরিয়ম প্রতিবন্ধি ও লাল মিয়া ৪বছর পূর্বে পাহাড়ে কাঠ কাটতে গিয়ে পিচলে পড়ে একটি হাত ভেংগে যায়। তখন থেকে হাতটি অবশ হয়ে যায়। শুরু হয় বেকারত্ব ও অভাবের সংসারে টানা-পোড়েন। বেকারত্ব আর অভাব যন্ত্রণায় পারিবারিক পরিবেশ ক্রমশ কলহপূর্ণ হয়ে উঠে। প্রায় সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও গাল মন্দের ঘটনা ঘটে আসছে। এতে লাল মিয়া অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহননের পথ বেচে নেয় বলে ধারণা করলেও অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার বলে সচেতন মহলের দাবী। এছাড়া তার স্ত্রীর ভাষ্য মতে বৃহস্পতিবার সকালে ভিজিডি চাল সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় কথা কাটাকাটি হয়। কেন ঝগড়া হয় জানতে চাইলে বলেন অন্য কিছু ( পরকিয়া) মনে করে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর পর ঘর থেকে বের হয়ে যাবার কিছুক্ষন পর ঝাউগাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার খবর পাই।
খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার এস আই সুজিত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে, সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেছেন বলে জানা যায়।