
কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে এক শিশুসহ দুইজন নিহত ও দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাইয়ের কেপিএম এলাকার কলাবাগানে মাটি চাপা পড়ে সূর্য মল্লিক (৬) ও তাহমিনা আক্তার (২৫) নামে দুইজন নিহত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণে কেপিএম এলাকার কলাবাগানে পাহাড়ের মাটি ভেঙ্গে টিন শেডের ঘরের উপর মাটি চাপা পড়ে শিশু সূর্য ও তাহমিনা নিহত হয়। এদিকে, কাপ্তাইয়ের ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থল থেকে তাদেকে উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে, কাপ্তাই থানার ওসি মো: নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে।
এদিকে,উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন, কাপ্তাই পুলিশ , বিজিবি ও কেপিএমের উদ্ধার টীম ও এলাকার স্থানীয় জনগন। অপরদিকে, ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় মো: গফুর (৫৪) ও বিলকিস বেগম (৪৩) কে উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টীয়ান হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহত দুইজনই নিহত তাহমিনা আক্তারের বাবা মা। কাপ্তাই কেপিএম এর নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো: বাদশা আলম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে কেউ নিখোঁজ না থাকায় উপজেলা প্রশাসন ,বিজিবি এবং ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতিতে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। কর্ণফুলী পেপার মিলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) একরামুল্লাহ খন্দকার বলেন, নিহত দুই পরিবারকে কেপিএম থেকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুল হক জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হবে। অপরদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, কাপ্তাই বিজিবির সিও লে: কর্ণেল মো: শহীদুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মফিজুল হক, ইউএনও আশ্রাফ আহমেদ রাসেল,কেপিএম এর এমডি প্রকৌশলী ড. এম এম এ কাদের চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার ইসলাম বেবী। এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রবল ভারী বর্ষণে কাপ্তাইয়ের নতুন বাজারের ঢাকাইয়া কলোনি, কেপিএম অতিথি ভবন,শিলছড়ি,চিৎমরম,ব্যাঙছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। উল্ল্যেখ যে, ২০১৭ সালের ১২ ও ১৩ জুন অবিরাম বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই এ পাহাড় ধ্বসে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।