রোহিঙ্গা ও মানবতা— (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি কে উৎসর্গকৃত)

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

— মোঃ কামরুল ইসলাম।

অহিংসা পরম ধর্ম যদি হয় মুখে,অন্তরে যদি থাকে ভন্ডামী,মানবতা তখনি কাঁদে।

ধর্ষন, নারী হত্যা,যেন বৌদ্ধের বানী
নির্জন দুপুরে,মেহেদী রঙ্গে ধর্ষিত নারী।

অকারনে মেঘলা গগনে আমি রঙধনু খুজিঁ
ষোড়শীর নীল চোখ, মানবতা আজি পদতলে
আমার সামর্থ নেই,তবু ও আমি কবি।

গভীর অরণ্যে বয়ঃ বৃদ্ধা ঝর্ণা আমি
আলোক হীন মঞ্চ আমার যেন ছবি।

একা ওরে জম্ম আমার,যুদ্ধ করেছ তুমি
উর্ধ্বমুখী,বজ্রমুঠি,হানাদার হয়েছে হনন
ঠোঁট,কন্ঠনালী নিরব,নিথর,রক্ত আজি তোমার
আজি শুধু মানবতা দহন।

ওরা বর্ণ চোরা,ওরা শোষকের দল
ওরা রাক্ষসের বংশধর
রোহিঙ্গা আজ শোষিত জনপদ।

ঘৃনার থু থু দিয়ে তুমি সৃষ্টি কর, নব উদ্দম
শত শত বঙ্গোপসাগর
কলকাতা,ভিক্টোরিয়া পার্ক, দাদা বাবু
নিজের স্বার্থে নিশ্চুপ মানবতা, পশ্চিমা বিশ্ব
স্মৃতির দ্বীপে রোহিঙ্গা যেন জীবন্ত লাশ শুধু।

মানবতার বাগানে ভ্রমর আসে,আবার চলে যায়
শত সহস্র বছর নির্যাতন বাড়ে,
আমার দেশ কোথায়?
ওদের চিৎকার,আমি নিরবে কাঁদি
মানবতা শুধু কেঁদে রয়।

আমি মায়াকান্না করতে আসেনি –
জলন্ত মোমবাতি,কি ভয়ন্কর,ওরা কাঁপছে
ওরা মরে যাচ্ছে, বাচাঁও বিশ্ব
এই দাবী নিয়ে আমি আজ এসেছি।

ওরা রাক্ষস আঘাত কর বিশ্ব-
মিয়ানমার একটি ভয়ন্কর কীট।
ওরা মানবতার দুশমন,মানবতাকে আকঁড়ে ধর
পালাতে বাধ্য কর,চাঁদে কিংবা মঙ্গলে
পাহাড়ে কিংবা অরণ্যে-
প্রতিচ্ছবি হোক যেন মোদের প্রতিটি কর্ম।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত