জীবনকে কিভাবে আকর্ষণীয় ও প্রানবন্ত করবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোঃ কামরুল ইসলাম।

মনের অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস আমাদের প্রায় আসে।সুখ,সুখ- পরক্ষণে মন খুঁজে সেই সুখের ঠিকানা।ভাবে আসলে সুখের ঠিকানা কোথায়?
আমরা নিজেরাই এখন নিজকে নিয়ে খুব বেশি ব্যস্ত এমনকি নিজকে ও নিজের পরিবার নিয়ে ভাবি। নিজের জীবনকে আকর্ষণীয় ও প্রানবন্ত করতে চাই,টাকার পেছনে দৌড়াতে গিয়ে ন্যায়,অন্যায় ভুলে যাই। অমানবিক পাপবোধকে লালন করি। যদিও টাকা,অর্থ সম্পদ জীবন চলার পথে খুবই প্রয়োজন কিন্ত টাকা,অর্থ প্রকৃত অর্থে সুখ দিতে পারে না। এই টাকার পিছনে ছুঁটতে গিয়ে আমরা ভদ্রতা নম্রতা,ভুলে যাচ্ছি,এলোমেলো পথে অন্যায় ভাবে মিথ্যাকে আশ্রয় করে পথ চলছি।তাতে প্রকৃত সুখের ঠিকানা হারিয়ে ফেলছি আর তখনই প্রকৃত সফলতা অগোচরে মুখ লুকাচ্ছে এবং জীবন যে একটাই তা আমরা ভুলে যাচ্ছি। টাকা ও অর্থ সম্পদের বাইরে জীবনকে অাকর্ষণীয় ও প্রানবন্ত করতে আমাদের কিছু সুনিদির্ষ্ট পরিকল্পনা থাকা উচিত।
প্রথমে জীবনকে আকর্ষণীয় প্রানবন্ত করতে হলে নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।উন্নত ও আধুনিক মননের অধিকারী হতে হবে।
নিজকে সর্ব দিক থেকে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।কারন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।সৎ মানসিকতা নিয়ে ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নারী পুরুষকে- পুরুষ নারীকে উপস্হাপন করতে হবে।
তাহাছাড়া সুনিদির্ষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে এবং অসৎ মানসিকতা পরিহার করে নারী, পুরুষ একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার জম্ম দিতে হবে। ব্যর্থতায় হতাশ না হয়ে সফলতা খোঁজার চেষ্টা করতে হবে।জীবনে সফলতা,ব্যর্থতা থাকবেই
যদিও আমরা সফলতা খুশি হই আর ব্যর্থতায় হতাশ হই -এইক্ষেএে ব্যর্থতার সুনির্দিষ্ট কারন খুঁজতে হবে।
ব্যর্থতা মনে পুষে রাখা যাবে না তাতে প্রত্যেকের মনে হীনমন্যতাজম্ম নেবে। যে কোন পরিস্হিতি মোকাবেলার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। আশাবাদী হতে হবে। কারন আশাই একমাএ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।সুন্দর ভবিষৎ এর কথা ভাবতে হবে ও নিজের মনোবল সবসময় বাড়িয়ে তুলতে হবে ও কঠিন পরিস্হিতি
সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
হিংসা,বিদ্বেষ হতে নিজকে দুরে রাখতে হবে।
দ্বন্ধ সংঘাত হতে নিজকে সুকৌশলে এড়িয়ে চলতে হবে। নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
অন্যের দৈহিক বা সাজ সজ্জ্বা বা প্রাচুর্যে ঈষান্বিত না হয়ে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে সফল হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। নিজের সামান্য প্রাপ্তিকে সেরা অর্জন বলে বিবেচনা করে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।উচ্চাভিলাসিতার কারনে জীবনে স্বামী – স্ত্রী মনোমানিল্য সহ সর্বক্ষেএে অশান্তি নেমে আসে। তাই উচ্চাভিলাসি মনোভাবকে কষ্ট হলে নিজের আয়ত্বে রাখতে হবে।
মেধা ও শ্রমে নিজের ইচ্ছা পুরুন করতে হবে।
সবার সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে হবে। কারন এই সমাজ সংসার বড়ই নির্মম,স্বার্থপর ক্ষণিকে পরিবর্তনশীল। সমাজ বড় বেশি আত্মকেন্দ্রিক।
সবার সাথে আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যে কেউ তারও বিপদে,সুখে দুখে পাশে গিয়ে দাড়াতে হবে।
অন্যের ভালবাসা পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে সহজ ভাবে নিতে হবে তা যতই কঠিন হোক। রাগ, হিংসা,ঘৃনা পরিহার করতে হবে ।স্নেহ ভালবাসা,আদর বিলিয়ে পরিতৃপ্তির হাসি হাসতে হবে ।নরম তুলতুলে শরীরটাকে হেলায় ফেলে না রেখে হালকা ব্যায়াম করলে ও সঠিক খাদ্যাবাস গড়ে তুললে এতে দেহ থাকবে টানটান মুখমন্ডল হবে উজ্জ্বল।আর আপনি পাবেন জীবনের সত্যিকারের স্বাদ।জীবন হবে কর্মক্ষম আর আপনি থাকবেন চিরসবুজ।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত