
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম।এই জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা সরকারী,অাধা সরকারী স্কুল পরিচালনায় ব্যয় করে।কিন্ডারগার্টেন সমুহ ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হলেও সরকার থেকে তেমন কোন রকম
সাহায্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত।
বর্তমানে বিনা মুল্যের বই পেয়ে থাকলেও অন্য কোন অনুদান ও সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি আজও কিন্ডারগার্টেন সমুহকে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে সরকারের উদার নীতি ও আগামীতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাএ/ছাত্রীদের বিনামুল্যে দুপুরের খাবার বিতরন পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য তবে এতে সরকারী প্রাথমিক শিক্ষার মান কতটা আধুনিক মান সম্মত হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিলেও কিন্ডারগার্টেন সমুহ সকল সুযোগ সুবিদা হতে বঞ্চিত। কিন্ডারগার্টেন সমুহে এই দেশের প্রায় অর্ধেক ছাত্র ছাত্রী
শিক্ষা গ্রহন করে থাকে।দেশের শিক্ষার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেন সমুহের যে শিক্ষা পদ্ধতি তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।সারা বাংলাদেশে একটিমাত্র
সংগঠন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (১০২৮/৯৮) কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমুহের বিভিন্ন সমস্যা
সমাধানে আন্তরিক হয়ে কাজ করছে।বর্তমানে সারা বাংলাদেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইসকান্দার আলী হাওলাদারের নেতৃত্ব প্রশংসার দাবী রাখে।
৯০ এর দশক থেকে দেশে বেসরকারী করনের যে জোয়ার বইছে তাতে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমুহ কম বেশি সাহায্য সহযোগিতা পেলেও কিন্ডারগার্টেন সমুহ
সকল সুবিদা হতে বঞ্চিত।এইটি হয়ত কিন্ডারগার্টেন সমুহের প্রতি সরকারের বিমাতাসুলভ আচরন।
বর্তমানে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু কোন গনতান্ত্রিক দেশে গনতন্ত্র বিকাশ,শিক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নাগরিকদের সুযোগ সুবিদার কথা বা স্বীকৃতি সংবিধানে দেওয়া অাছে।শিশুদের মেধা বিকাশে কিন্ডারগার্টেন সমুহ যে অবদান রাখছে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই।
সংবিধানে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি
দিলে ও দুঃখজনক হলে ও সত্য কিন্ডারগার্টেন বা সম-
মানের প্রতিষ্ঠানে যে সব শিশুরা বা ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া করে তারা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে ও বিভিন্ন সুবিদা হতে বঞ্চিত। অন্যদিকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেন্জ মোকাবিলা করতে হলে ও প্রত্যেক নাগরিককে সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হলে সুন্দর, সুষ্ঠ নীতি মালার আলোকে সহজ শর্তে রেজিস্টেশান সহ কিন্ডার গার্টেন বা সমমানের স্কুল সমুহকে দিয়ে একটি বোর্ড করতে হবে এবং বোর্ডের আলোকে স্কুল পরিচালিত হোক বলে অভিজ্ঞ জন মনে করেন কেননা এই পদ্ধতি সর্বজন বিদিত বা একটি আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত ধারার সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত বা পরিবেশ মান সম্মত নয় বলে ও অকার্যকর বিধায় দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠি প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী এই সব প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। জার্মান শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক ফ্রোয়েবল কিন্ডারগার্টেন (শিশুদের বাগান)নামে যে শিক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তন করেন তা স্মরনে রাখার মত। শিশুর দৈহিক,মানসিক শক্তির যে জাগরন তাকে যথাযত পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তত্বাবধানে জাগিয়ে দেওয়ার উদ্দশ্য এই যে,প্রত্যেক শিশু তার নিজস্ব প্রকৃতি,চরিএ ও জীবনের প্রকৃত বিকাশ সাধনে
সমর্থ হয় এবং ঐ অবস্হায় নিজে নিজে শিক্ষা প্রাপ্ত হয়।শিশুরা বড় হবে শিক্ষার প্রভাবে।শিক্ষা তাদের জীবনে পূর্ণতা দিবে।এই জন্য দরকার যুগোপযোগী শিক্ষা।কিন্ডারগার্টেন শিক্ষ পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্হাকে নতুনভাবে সাজাতে হবে।তবেই জাতি হিসাবে বিশ্বদরবারে মাথা তুলে দাড়াতে পারবে আগামী প্রজম্ম,অন্যত্রায় নয়। প্রত্যেক সচেতন নাগরিককে তার সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্হার উত্তরণ ঘটাতে সরকারের পাশাপাশি নিজদের সচেতন ও আন্তরিক হতে হবে তাহলে শিশু শিক্ষাব্যবস্হা সহ পুরো শিক্ষা ব্যবস্হার উন্নয়ন হবে।আর তখনি ঐ শিক্ষা ব্যবস্হা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।এই জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন সরকার কর্তৃক সার্বিক সহযোগিতা, অনুদান,তদারকি বিশেষ করে সুষ্ট নীতি মালা। যার আলোকে কিন্ডারগার্টেন সমুহ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান সমুহ পরিচালিত হবে এবং ঐ সব কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা আগামীতে দেশ ও জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিবে।
মোঃ কামরুল ইসলাম।
লেখক,কবি -মানবাধিকার কর্মী ও উপদেষ্টা
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশান,চট্টগ্রাম বিভাগ।