মহান জাতীয় সংসদে পল্লীবন্ধু এরশাদকে সফল রাষ্ট্রপতি ঘোষণা এবং শোক প্রস্তাব গৃহীত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্পীকারকে জাতীয় ছাত্র সমাজ চট্টগ্রাম মহানগরের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহানগর প্রতিনিধিঃ

রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন শুরুর পর স্প্রীকার ড. শিরীণ শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে এই সংসদ প্রস্তাব করে যে, পল্লীবন্ধু এরশাদের মৃত্যুতে দেশ একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং নিবেদিত প্রাণ সমাজসেবককে হারালো। এই সংসদ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সহমর্মিমতা প্রকাশ করেন। এই শোক প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর তাঁর দীর্ঘ ৯ বছর কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি.এম কাদের, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, জাপার মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক ছুন্নু, মোহাম্মদ ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশিদ, এড. সালমা ইসলাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারি, আহসান আদেলুর রহমান, পীর ফজলুর রহমান, নাজমা আক্তার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মুজিবুল বশর মাইজভা-ারী সহ প্রমুখ। আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের উক্ত শোক প্রস্তাবে বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ অসম্ভব জনপ্রিয় নেতা। দীর্ঘ ২৭ বছর রাজনীতির মাঠে ছিলেন। গণতন্ত্র রক্ষা ও বিকাশে তিনি নিরলস সংগ্রাম করেছেন। তাঁর পুরো শাসনামলকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। প্রথমত ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সামরিক শাসনে দেশ পরিচালনা করেছেন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন। দ্বিতীয়ত ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিকভাবে কল্যাণমূলক শাসন ব্যবস্থা উপহার দিয়েছেন। তাঁর জীবদ্দশায় একটি সংসদ নির্বাচন ছাড়া সব সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন। এক কথায় তিনি জননন্দিত নেতা এবং পল্লীবন্ধু। এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম বলেন, মহান জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত সহ পল্লীবন্ধুকে সফল রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্পীকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, পল্লীবন্ধুর নয় বছরের শাসনামল ছিল বাংলার ইতিহাসের স্বর্ণ যুগ। আজ মহান সংসদে এই স্বীকৃতি পেয়ে আমরা গর্বিত। নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদুল হক সিদ্দিকী, যুগ্ম আহ্বায়ক আত্বা-ই-রাব্বী তানভীর, চট্টগ্রাম মহানগর সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজম গণি, চট্টগ্রাম কলেজ আহ্বায়ক আনিসুর রহমান মিনহাজ, পাঁচলাইশ থানার আহ্বায়ক মো: আকাশ, চান্দগাঁও থানা আহ্বায়ক মো: মামুনুর রশীদ, চান্দগাঁও থানা যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাতুল আলম কচি, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়াজী, চকবাজার থানা ছাত্রনেতা এরশাদ, মহসিন কলেজ ছাত্রনেতা মো: অনিক, মো: অনিক, বাকলিয়া কলেজ ছাত্রনেতা মো: মারুফ, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রনেতা আজিজুর রহমান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত