
ঢাকা ব্যুরো অফিসঃ
ইন্সুরেন্সের আওতায় প্রতিটা জায়গায় আনতে পারি তাহলে সেটি আমাদের অর্থনীতিতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। বিমা খাতকে অর্থনীতির জন্য কাজে লাগাতে হবে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের বিমা কোম্পানিগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিমা খাতে বৈচিত্র আনতে হবে। এই খাত আগামীতে দেশের অর্থনীতিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। পর্যায়ক্রমে গবাদিপশু-বহুতল ভবন-অফিস ও ফ্ল্যাট সব কিছুই ইন্সুরেন্সের আওতায় আনা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিমা খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা বলেছেন, বিমা আগের অবস্থানে নেই। এ খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। খাতটিকে কীভাবে আরও বৈচিত্রময় করা যায়, কীভাবে আরও নতুনত্ব আনা যায়, সেই বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। আমাদের যেই যেই জায়গায় ইন্সুরেন্স কাভারেজ নেই, সেইগুলোকে ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে হবে। আমরা সবাই কোনো না কোনো বাসায় থাকি, ফ্ল্যাটে থাকি। তাদের দাবি, ফ্ল্যাটগুলোর ইন্সুরেন্স বাধ্যতামূলক করা। আমরা যে অফিসে থাকি সেটার ইন্সুরেন্স আছে কিনা, আমরা জানি না। তাদের দাবি, সেগুলোও ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে হবে বলেন মন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশে শুধু মানুষ ও প্রোপার্টি নয়, কুকুর-বিড়ালেরও ইন্সুরেন্স আছে। আমাদের দেশকে যদি শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়তে চাই তাহলে প্রত্যেকটা কম্পোনেন্টকে সামনে আনতে হবে। এ সময় বিমা খাতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বিমা খাতে আমরা অনেক গতিশীলতা নিয়ে এগোচ্ছি। আগামী বছর পয়লা মার্চ জাতির পিতাকে স্মরণ করে জাতীয় বিমা দিবস পালন করার কথা জানান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন প্রমুখ।