শেখ খালেদ মেজবাহ উদ্দীন
সলিমপুর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী। সলিমপুর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে খতমে কোরান , কালোব্যাজ ধারণ , প্রতিকৃতিতে পুস্প অর্পণ , আলোচনা সভা এবং কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ০৮ টায় কালোব্যাজ পরিধান এবং সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সুচনা করেন সলিমপুর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন নেত্রীবৃন্দ । শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে খতমে কোরান এবং ১৫ আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া - মোনাজাত করা হয় ।
সলিমপুর আওয়ামীলীগ আহবায়ক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুস্টিত ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম – ৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম এম পি ,
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক , সীতাকুণ্ড উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন সাবেরী , উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম - সম্পাদক আলহাজ্ব রেহান উদ্দীন ।
মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন এবং মোহাম্মদ আলাউদ্দীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন , মহিলা আওয়ামীলীগ নেএী রওশন আরা, সীতাকুণ্ড মহিলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার বিউটি, সীতাকুণ্ড যুব মহিলা লীগের আহবায়ক জয়নাব বিবি জলি, আবুল আব্বাস, প্রদীপ কুমার , শেখ সাইফুদ্দীন খালেদ, প্রদীপ কমার দাশ মোহাম্মদ আলা উদ্দীন ,উপজেলা তাঁতী লীগ আহবায়ক নুর মোহাম্মদ , ইউসুফ আলী লিটন, ইকবাল সরওয়ার, আবু সুফিয়ান, আশরাফুজজামান রনি, জিয়াউদ্দিন, আবু নয়ম নওশাদ,শাহেদ কাদের, আব্দুল জাবেদ মেম্বার , বাবুল খাঁন , ছাএলীগ সভাপতি সৈয়দ সামস মাহমুদ লেনিন, সাঃ সম্পাদক আশরাফুদৌলা রহমান, সাইফুল ইসলাম, ছাত্রনেতা সামির চৌধুরী প্রমুখ ।
প্রধান অতিথি আলহাজ্ব দিদারুল আলম এম পি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও ভূমিকাকে কোনো বিশেষ দিনে নয়, প্রতিক্ষণে স্মরণ করতে হবে। তাহলেই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। আদর্শিক রাজনীতির ধারা ফিরিয়ে আনতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। গরীব মানুষের প্রতি অকৃত্রিম দরদী বঙ্গবন্ধু তাদের ভাগ্যোন্নয়নের স্বপ্ন দেখতেন এবং তাদের দুঃখের রাত্রির অবসানে বিভোর থাকতেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ গরীব রাষ্ট্র নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গরীবী হটিয়ে দেশকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। বাংলার মানুষের মুক্তিই ছিল জাতির পিতার জীবনের মূল লক্ষ্য।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।