
বিশু তনচংগ্যা, কাপ্তাই, রাংগামাটি।
রাংগামাটি কাপ্তাই উপজেলার ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শৈলজা এলাকার হাজেরা বেগমের,বয়স(৩৭)।স্বামী ইউসুফ আলী ২ বছর আগে মারা গেছেন।এরপর থেকে বিভিন্ন মেসে রান্না করে সংসার চালান আর একমাত্র মেয়ের পড়াশোনার খরচ যোগাড় করেন।
ঈদের আগে ভাঙা ঘরটা মেরামতের জন্য চেষ্টা করছেন কিন্ত তার পক্ষে মোটেও সম্ভব হয়ে উঠছে না। সে বিষয়টা জানার পর আজ রবিবার কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙা ঘর মেরামতের জন্য টিন,নগদ অর্থ আর মিস্ত্রি নিজে পৌছে দেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন।ঈদের আগেই তার ভাঙা ঘর সংস্কারের কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান। কথা হয় কাপ্তাই সড়কের পাশে শৈলজা এলাকায় ভাঙ্গা ঘরে বসবাসরত হাজেরা বেগমের সাথে। তিনি জানান, কোন রকমে কষ্ট করে তার পরিবার বসবাস করে এই ভাঙ্গা ঘরে। অতিবৃষ্টি হলে ঘরের ভিতরে পানি পড়ে। সবসময় একটা অজানা ভয় লেগে থাকে যদি ঘর ভেঙ্গে পড়ে। তিনি উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তাকে শান্তিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেবার জন্য। উল্ল্যেখ যে, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন ইতিমধ্যে বহু গৃহহীন এর ঘর মেরামত সহ নানাবিধ সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রশংসিত হয়েছে।