
রানা সাত্তার:
নিরীহ দু’হাজার জন গার্মেন্টসকর্মীদের প্রায় দুই কোটি টাকা নিয়ে দীের্ঘদিন যাবৎ পালাতক গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি আসামী মুজিবুর রহমান মনসুর নেত্রকোনা থেকে আটক করা হয়। জানা যায়, মুজিবুর রহমান মনসুর (পিতাঃ আবুল কালাম, সাইদপাড়া, থানা-কেন্দুয়া)সহ তারা ছয়জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি মামলা রয়েছে যার সি. আর নং ৪৬/২০১৯.যাহা পিবিআই’য়ের তদন্তাধীন রয়েছে। গত ২০ অক্টোবর, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান বুঝতে পেরে মুজিবুর রহমান মনসুর কে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানা পুলিশ কতৃক আটক করা হয়। পরে তাকে আদালতে হস্তান্তর করা হয়।তার কিছুদিন আগে একই মামলায় আটককৃত অন্য দুই জন আসামী কে নেত্রকোনা জেলা আদালত জামিন দেয়।এবার মামলার প্রধান ও আসামী আত্তসাতের ছকের নেতা আটককৃত মনসুর কে জেলে পাঠানো হয়,মনসুর বর্তমানে নেত্রকোনা জেলে রয়েছে। বাদীপক্ষ জানান,মনসুর বাকি দুজনের মত জামিনের জন্য তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।এই ব্যাপারে বাদি ও ভুক্তভোগী মমতাজ জাহান পারভীন (৩০)ও রিনা সবার প্রতিনিধি হয়ে জানান,এত বড় অপরাধ করে তারা আমাদের মত নিরীহ মানুষের দুই কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় চট্টগ্রাম থেকে।তারা আবার জামিন নিয়ে বের হয়ে আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে।কিভাবে আইনের হাত থেকে বের হয়ে যাচ্ছে!আমরা গার্মেন্টসকর্মি হিসাবে কাজ করে খুব কষ্টে অর্জিত অর্থ তাকে বিশ্বাস করে তার হাতে দিয়েছিলাম,সে আমাদের সঞ্চিত অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।এখন মনসুরের তিনটি অফিস মিলে প্রায় দুই হাজার খেটে খাওয়া মানুষ পথে বসেছে প্রায়।অনেক মহিলার সংসারে চলছে অশান্তি।স্বামী স্ত্রীর তালাকের মত নেক্কারজনক ঘটনাও ঘটেছে।স্টোক করেছেন বহু মানুষ।আত্বহত্যার মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বহুজন বহুবার। অবশেষে,মনসুর এর গ্রেপ্তার হওয়া ও নেত্রকোনা আদালতে বিচারাধীন শুনে ঈদের খুশি যেন তাদের মনে।এই ব্যাপারে কথা বললে তারা সমোচ্চারিত কন্ঠে বলেন মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, দেশনেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন ও অনুরোধ, আইনের মাধ্যমে তাদের এই ক্ষতিপূরণ তার কাছ থেকে ফেরত চান।সেই সাথে তার দৃস্টান্তমুলক শাস্তি চায় যেন আর কোনা কেও যেন নিম্ন আয় ও দুস্থমানুষের ভাগ্য ও আশা নিয়ে যেন ছিনিমিনি খেলার সুযোগ যেন না পান।আইনের ফাক এড়িয়ে যেন জামিন না পান।তারা বিশ্বাস করেন মহামান্য বিজ্ঞ আদালত তাকে নামঞ্জুর করে সাজার আওতায় আনবেন।
এই ব্যাপারে মনসুরের অফিসে যোগাযোগ করতে চাইলে তার সব কটি অফিস বন্ধ পাওয়া যায়।তার অফিসের রেজিস্টেশন নাম্বার লিখা পাওয়া যায় গভঃরেজি-১২০৯২,জানামতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অনুমতি নিতে হয় সমবায় সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয় থেকে।তার সমিতিটি দেখা যায় ভুয়া রেজিস্টেশন।
প্রসংঙ্গতঃ২০১২ সালে থেকে মনসুর দীর্ঘদিন যাবৎ পতেঙ্গায় বসবাস করে আসছিলেন।জায়গাটি যেহেতু ইপিজেড এলাকা তাই গার্মেন্টসকর্মিদের নিয়ে ভাল কিছু একটা করার পপরিকল্পনা করছিল, তাই ভেবে সহজ সরল,অবলা নারীসহ অনেকেই বিশ্বাস করেছিল তাকে।সবার দর্বলতার সুযোগ নিয়ে মনসুর ও তার সহযোগী হিসাবে ভগ্নিপতি ও তার নিজ ছেলে মলে দামোস নামে একাটি সমিতি খুলে বসে।ছলে বলে কৌশলে সবাইকে একাউন্ট করিয়ে নেন।শুরুতেই ডেইলি,সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তি,আবার এফডি আর নামক সবাইকে সমতির বইও দেন।সবাইকে ডাবল টাকা দিবার আশা দেখান।সদস্যদের টাকা গুলি কোথায় ব্যাবহার করা হচ্ছে জানতে চাইলে বলতো নেত্রকোনায় জায়গা কিনা হয়েছে সেখানে ভাড়া দেয়া হয়েছে লাভের শেয়ার ও জায়গার শেয়ার সবাই।এর মধ্য হঠাৎ করে একদিন মনসুর উধাও।তার পরিবার ও কে জিজ্ঞাস করা হলে তারা জানে না বলেন।মনসুর ও তার সহযোগী সবাইকে আসামী করে পতেঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়।অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলে কে থানায় হাজির করা হলে তারা মুছলেখা দিয়ে একটি ওয়াদা ও আপোষ নামায় স্বাক্ষর করে আসেন।এর কিছুদিন রাতের আধারে তারাও পলায়ন করবন। এর পরিপেক্ষিতে,ভুক্তভোগীরা মিলে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা করেন, সেই মামলা পিবিআই তে দেয়া হলে দীর্ঘদিন তার অবস্থান জানার চেষ্টা করিলে ২০ অক্টোবর তাকে নেত্রকোনা থেকে আটক করা হয়।