চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুজিবুল হক মুজিবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে খোদ আওয়ামীলীগ পরিবারের জায়গা জবর-দখলের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার উর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের চিরিংগা এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবার মরহুম আলহাজ আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী (বাবুমিয়া) ছেলে আনোয়ারুল মুবিন চৌধুরীকে তার মাতা আলহাজ মরতুজা বেগম চৌধুরানী গত ২২মে ২০০১সালে চিরিংগা মৌজার ভিটে-বাড়ির ৭শতক (২১কড়া) জমি অছিয়তনামা দলিল রেজি: মূলে সম্পাদন করে দেন। দলিল সম্পাদনের পর থেকে চৌধুরী বাড়ির সন্তান মুবিন চৌধুরী ওই জমি বিগত উনিশ বছর ধরে ভোখদখলীয় রয়েছেন। তিনি স্বাধীনতা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও চকরিয়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আনোয়ারুল হাকিম দুলালের আপন ছোট ভাই। উক্ত ভোগদখলীয় মুবিন চৌধুরীর মায়ের দেয়া জমিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুজিবুল হক মুজিবের। কাউন্সিলর মুজিব তার ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে খোদ আওয়ামীলীগ ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তানের জমি জবর-দখল নিতে গত দিন ধরে মাটি ভরাটের কাজ করে যাচ্ছেন। এতে বাঁধা দিতে গেলে ভুক্তভোগী মুবিন চৌধুরীকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও নানা ধরণের হুমকি প্রদান করেন। জায়গার মালিক আনোয়ারুল মুবিন চৌধুরী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, চিরিংগা মৌজার বিএস ২৪৩ নম্বর খতিয়ানের ৫৬৩দাগের তার মা আলহাজ মরতুজা বেগম চৌধুরানী অংশের প্রাপ্ত জমি থেকে ৭শতক (২১কড়া) জমি অছিয়তনামা দলিল মূলে রেজিষ্ট্রি করে দেন। জমি রেজি: পর তার নামে জমাভাগ খতিয়ান ১৭৫১সৃজন করেন। বর্তমানে নালিশী জমিতে ভোগদখলীয় থাকার পরও স্থানীয় কাউন্সিল মুজিবুল হক তার পৈত্রিক জমি রয়েছে দাবী করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার দখলীয় জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ করে যাচ্ছে। এনিয়ে তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।