
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই
ভারতবর্ষের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর ত্রিপুরা জিলার ধর্মনগরের ‘স্বামী বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিকী ভবন’এ গত ২৭শে আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় অমিত্রাক্ষর (একটি আবৃত্তি শেখার ঘর)-এর আয়োজনে “আনন্দে বাঁধি কবিতার প্রাণ” শীর্ষক আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা বিধান সভার উপাধ্যক্ষ শ্রী বিশ্ববন্ধু সেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ভারতের কলকাতার
দেবাশীষ চক্রবর্তী, বাংলাদেশের ঢাকার কাজী মাহতাব সুমন, বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির হোসেন ও বাসির দুলাল, ভারতের আগরতলার শাঁওলী রায়, ভারতের শিলচরের দেবাশীষ চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশনার পাশাপাশি গুণীজন সম্মাননা পর্বেরও আয়োজন করা হয়। সম্মাননা গ্রহণ করেনঃ সুকান্ত সম্মাননা প্রাপ্ত অধ্যাপক সুজিত চক্রবর্তী;
আবৃত্তিগুরু বিকাশ বরণ ভট্টাচার্য;
আবৃত্তি প্রশিক্ষক কাজী মাহতাব সুমন;
সঙ্গীতগুরু সমীর ভট্টাচার্য এবং
সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক। মূল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাসির দুলাল ও গ্রন্থিতা গোস্বামী এবং গুণীজন সম্মাননা পর্বটি সঞ্চালনা করেন অসিত কুমার সাহা। অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নীলোৎপল গোস্বামী, নির্ঝর পাল, ভাস্কর দাস, তপোধীর ভট্টাচার্য, রাজীব ভৌমিক, বিজয় দেবনাথ, সন্দীপ নাথ, হিল্লোল দেবনাথ প্রমুখ। এর আগে ২৬শে আগস্ট ধর্মনগর সরকারী কলেজ মিলনায়তনে শ্রী বিশ্ববন্ধু সেন, অমিত্রাক্ষর (একটি আবৃত্তি শেখার ঘর) কর্তৃক আয়োজিত বাকশিল্পের কর্মশালার উদ্বোধন করেন। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী মাহতাব সুমন ও অধ্যাপক মনির হোসেন।
উল্লেখ্য চট্টগ্রামের মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া পরিবেশন করেন বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অন্নদাশংকর রায়ের ‘বঙ্গবন্ধু’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘মানুষ’, আসাদ চৌধুরীর ‘তখন সত্যি মানুষ ছিলাম’, নির্মলেন্দু গুণের ‘যাত্রাভঙ্গ’, কাজী নজরুল ইসলামের ‘খুকি ও কাঠবেড়ালী’, হেলাল হাফিজের ‘ফেরীঅলা’, জীবনানন্দ দাশের ‘অন্ধকার’ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘প্রশ্ন’ সহ মোট ৮টি কবিতা আবৃত্তি করেন।
পল্লীকবি জসিম উদ্দীনের ‘প্রতিদান’ কবিতার দুই লাইন দিয়ে সেলিম ভূঁইয়া দর্শক ও আয়োজক কর্তৃপক্ষকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে পরিবেশনা শুরু করেন।।