
মোঃ কামরুল ইসলাম
গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে দীর্ঘ ৫৩ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত প্রথম এলামনাই এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের দিনভর হাসি,গান,ছবি তোলা, নৃত্য দেখে কেউ সহজে বুঝতে পারবেনা কেউ প্রাপ্ত বয়স্ক,কেউ বৃদ্ধ-মনে হয়েছে প্রত্যেকে বয়সে সেই তরুন-তরুনী।কেননা রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্হিত হয়ে স্মৃতিচারন পর্বে বলেন- আমার ইচ্ছে করে আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই জীবনে ফিরে যাই। আজ সেই চেনা মুখ গুলো দেখে সত্যই আমি মুগ্ধ।জীবনের সেইদিন গুলো আমাকে এখনও অনেক কথা মনে করিয়ে দেয়।কেননা পুরোনো বন্ধুদের পেয়ে সবাই উল্লাসে মেতে উঠেন।তরুন তরুনী ও পঞ্চাশের অধিক প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের কথা বার্তা নাচ,গান,গল্প,সারি সারি দাড়িয়ে কানে কানে কি সব কথা বার্তা তা অন্য কার বুঝার কোন উপায় নেই।২ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের চিৎকার,হৈ,চৈ তা যেন তাদেরকে তাদের অতীত মনে করিয়ে দেয়। প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,বেলুন ও হাজার হাজার কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে চবিয়ানদের মুল পর্ব শুরু হয়।
এই স্মরণীয় আয়োজনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরিন আকতার।আরো উপস্হিত ছিলেন আয়োজনের আহবায়ক আলা উদ্দিন নাসিম,সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন।উপস্হিত ছিলেন এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম।চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন,সিউ ক্লাব সাধারন সম্পাদক মনসুর আহমেদ কোষাধ্যক্ষ মোঃফখরুল ইসলাম সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষক,ছাত্র ছাত্রী সহ প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী, সাংবাদিক সহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।প্রথম পর্ব শেষে বর্তমান উপাচার্য ও সাবেক চার উপাচার্যকে সম্মাননা দেওয়া হয়।সম্মাননা প্রাপ্তরা চবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুলমান্নান,বদিউল আলম,ড.আলাউদ্দিন,আনোয়ারুল আজিম আরিফ ও ড.শিরিন আকতার। উপাচার্যদ্বয় স্মৃতি অতীত ও কর্মজীবনের বিভিন্নদিক তুলে ধরেন।উপাচার্য গন ভবিষৎ এ এলামনাই এসোসিয়েশনকে সাহায্য করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।বক্তব্য রাখেন আব্দুল করিম মাহবু্ুবুল আলম,আলাউদ্দিন নাসিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গিয়াস উদ্দিন।শোক প্রস্তাবের মধ্যে দিয়ে আলোচনা ও স্মৃতিচারন সংক্ষিপ্ত আকারে সম্পন্ন হয়।এরপর বিকালে পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীর মন মাতানো নৃত্যের মধ্যে দিয়ে ২য় পর্বের শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন পরিবেশনা সকলকেই বিমোহিত করে। পরিশেষে নকিব খানের মনমাতানো গানের মধ্যে দিয়ে সাংস্কৃতিক পর্বের ইতি টানা হয়।চবিয়ানদের মনমাতানো কর্মকান্ডে গত কয়েকদিন ধরে সেজেছিল চারুকলা ইন্সটিটিউট সহ চট্টগ্রাম নগরী।এই আনন্দে ভাসবে চবিয়ান হয়ত ভাসবে আরো অনেক দিন।