স্বামীর পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে গৃহবধুর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোঃ সুজন ইসলাম নীলফামারী প্রতিনিধি।

নয় মাসের নব-বধু স্বামীসহ বাবার বাড়ী থেকে স্বামীর বাড়ীতে ফেরার পর বিষ পানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ৭ নং খালিশাচাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়ীতে। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল বারেক এর সঙ্গে একই উপজেলার ৬ নং নাউতারা ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের আফতার উদ্দিনের মেয়ে আইরিন বেগমের বিয়ে হয়। বারেক এর পিতা আনোয়ার হোসেন জানায়, দশ দিন আগে বারেক তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে যায়। এদিকে আমাদের ক্ষেতে ভুট্টা লাগানোর কাজ পুরোদমে শুরু হয়। বাড়ীতে আমরা সবাই ভুট্টাক্ষেতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তাছাড়া এখন ধান কাটামারাই ও ভুট্টা লাগোনোর কারনে কাজের লোকের প্রচুর অভাব। তাকে বার বার বাড়ীতে আসার তাগাদা দিলেও সে বাড়ীতে ফেরে না। টানা দশ দিন পর ২৩ নভেম্বর সে তার স্ত্রী ও ছোট শালীকা শারমিনকে নিয়ে বাড়ীতে ফেরে। পরের দিন সকালবেলা এসব বিষয় নিয়ে আমাদের পিতা ও পুত্রের মাঝে বাক-বিতন্ডা হয়। পরিবেশ স্বাভাবিক হলে আমরা সকালের চা-নাশতা করে বউমা ও তার বোনকে বাড়ীতে রেখে বারেক সহ সবাই ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করতে যাই। এরই মাঝে আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে বউমার ছোট বোন ক্ষেতে আমদের কাছে যায়। তাকে সহ ভাত খাওয়ার জন্য আমরা বাড়ীতে ফিরে আসি। এসে বউমাকে ডাকাডাকি করি। পরে দেখতে পাই তার শোয়ার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পর তার কোন সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে গিয়ে দেখি বউমা বিছানায় শোয়া ও তার মুখ থেকে কীটনাশকের গন্ধ উঠছে। সে বিষপান করেছে ভেবে তার বাবার বাড়ীতে সংবাদ দিয়ে তাকে মটরসাইকেলে করে জলঢাকা হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ নভেম্বর রাতে তার মৃত্যু ঘটে।
এব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে সাব ইন্সেপেক্টর আতিকে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত