
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে যতটা সফল হয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোনো রাষ্ট্র তেমন হয়নি। আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পেরেছি, এ কথা বলব না; তবে বাংলাদেশ জঙ্গি দমন করতে সক্ষম হয়েছে। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় হয়েছে। সাতজনের ফাঁসি হয়েছে। হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা যেভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এ ঘটনার পর সংবাদপত্রে অনুসন্ধানী রিপোর্ট বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সব সময় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছে। এই রিপোর্টগুলো ভবিষ্যতে জঙ্গি তৈরি না হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা, যাদের মুখে ভাষা নেই তাদেরকে ভাষা দিতে পারে। যার কাছে ক্ষমতা নেই তাকে ক্ষমতাবান করতে পারে। যে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না, তাকে প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সুতরাং এই দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে, দায়িত্বশীলদের কোথায় দায়িত্ব পালন করা দরকার সেটা তুলে ধরতে ভালো রিপোর্টিং অত্যন্ত সহায়ক হয়। আপনারা সত্য বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন সব সময়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি ইলিয়াস হোসেন। সঞ্চালনা করেন ডিআরইউর সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড উপ-কমিটির আহ্বায়ক আফজাল বারী। বক্তব্য রাখেন- জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডিআরইউর সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার। উপস্থিত ছিলেন- জুরি বোর্ডের সদস্য দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, ডিআরইউর যুগ্ম সম্পাদক জামিউল আহসান সিপু, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, তথ্য ও প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার, কল্যাণ সম্পাদক কাওসার আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য বি এম নূর আলম (বাদল নূর), মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন ও রাশেদুল হক প্রমুখ