
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে গত ২৩ অক্টোবর দুই হাজার ৭৩০ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার একমাস না যেতেই এবার ফের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
এমপিওখাতের উদ্বৃত্ত টাকা দিয়ে আরও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এমপিওভুক্তির নীতিমালা সংশোধন করে পশ্চাৎপদ জনপদের সংসদীয় আসনগুলোতে আরও দুটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বিদ্যমান নীতিমালায় ত্রুটি থাকার অভিযোগ তুলে সংসদীয় কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৭ম বৈঠকে এ মন্তব্য করা হয়। কমিটির সভাপতি ডা: মো. আফছারুল আমীন এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কমিটির সদস্য হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, মোঃ আবদুস সোবহান মিয়া এবং মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপুমনি ও সিনিয়র সচিব মো: সোহরাব হোসাইন দেশের বাইরে রয়েছেন।
বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ হতে ৮৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত এক হাজার ৬৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ বাবদ বার্ষিক ব্যয় প্রায় ৪৫৬ কোটি ৩২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। উক্ত ব্যয়ের পর আরো প্রায় ৪০৮ কোটি ৬৭ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা অবশিষ্ট থাকবে। এ অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে সংশোধিত নীতিমালার আলোকে যাচাই-বাছাই করে চলতি অর্থ বছরে আরো কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হবে। কমিটি সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও নীতিমালা সংশোধনে স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দের মতামত ও সুপারিশ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। সংশোধিত নীতিমালার আলোকে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি মো. আফছারুল আমীন বলেন, আর্থ-সামাজিক ও ভৌগলিক বিবেচনায় পশ্চাৎপদ জনপদের সংসদীয় আসনগুলোতে কমপক্ষে আরও দুটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির পক্ষে কমিটির সদস্যরা মত প্রকাশ করেন। সংসদীয় কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, এমপিওভুক্তি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। দেশের আর্থসামাজিক ও ভৌগলিক প্রেক্ষাপটে এই নীতিমালাটি সঠিক নয় বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। কারণ, একটি একটি দরিদ্র ও উন্নত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ও পাশের হার একই ধরনের হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ জন্য আমরা এই নীতিমালা পর্যালোচনা করতে বলেছি। তিনি বলেন, যেসব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তুলনামুলকভাবে এমপিওবঞ্চিত হয়েছে আমরা সেখানকার যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন করে এমপিওভুক্তির জন্য বলেছি। বলতে পারেন একপ্রকার চাপ দিয়েছি।