
নেওয়াজ মাহমুদ নাহিদ, লালপুর (নাটোর)প্রতিনিধিঃ
চলতি শিক্ষা বর্ষে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ফাতেমা। অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাবা ইউসুফ আলী উপজেলার তিলকপুর মোড়ের ছোট একজন চা বিক্রেতা। ৩ শতাংশ বাড়ির জমিটি ছাড়া যার আর কিছুই নেই। মেয়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও ভর্তি করানোর ও পড়ানোর টাকা নেই বলে যানান তিনি। ফাতেমার বড় বোন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান (সম্মান) বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত আছে। ৬৫ বছরের বৃদ্ধ বাবার চায়ের দোকানের উপর নির্ভর করে দুই বোনের লেখাপড়া করানো সম্ভবন না বলে তিনি জানান । ফাতেমা খাতুন (১৮) বাড়ি লালপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে তিনি তাকিয়ে আছেন সমাজিক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের দিকে। জানা গেছে, পি এস সি তে জিপিএ-৫, জে এস সি তে জিপিএ-৫, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও পরীক্ষার সময় অসুস্থ্য থাকায় এইচএসসিতে পান জিপিএ-৪.৯২।
ফাতেমা এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ৭৪৭তম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ৩৩৪, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটে ১৮৩, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ১৪তম জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গ’ ইউনিটে ৪৯৫তম। ভর্তি হতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা লাগবে তিনি জেনেছেন। কিন্তু ভর্তির টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগানো তার পক্ষে অতি কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই তিনি তাকিয়ে আছেন সমাজের বিবেকবানদের দিকে। একটু সহানুভূতিই তাকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন সফল করে দিতে পারে। ফাতেমা আরও বলেন, আমি আল্লাহর রহমতে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন, আমি যেন শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় শিক্ষিত না হয়ে একজন সুশিক্ষিত ও ভালো মানুষ হতে পারি।