মানবিক না অমানবিক। (প্রসঙ্গ মধুপুর বন ও এড্রিক বেকার)

নিজস্ব প্রতিবেদক

-মোঃ কামরুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য পরিচর্চা কেন্দ্র ও ক্রিস্টিয়ান মিশনারি হসপিটাল আমাদের কাছে কম বেশি পরিচিত।সাধারনত সাদা চামড়াদের মানবিকতা ও উদারতা দেখে আমরা সবাই ওদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকি যেন তারাই মানবতার একমাত্র ঠিকাদার।ওদের দেখলে আমাদের মধ্যে অনেকে ওদের সাথে নিজেই নিজের ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমাদের দেশে চিকিৎসক ও রোগ নিরুপন কেন্দ্র যে ভাবে সাধারন মানুষের উপর অমানবিক বিস্কিট খেলা করে তা বলতে ও লজ্জা লাগে তবে সব রোগ নিরুপন কেন্দ্র এক হলেও সব ডাক্তার এক নয়।অনেকের মতে বেশির ভাগ যেমন অমানবিক তেমনি কসাইের পূর্ব বংশধর।তবে এড্রিক বেকার যে এলাকায় কাজ করত তা ছিল উপজাতি ও অসহায় মানুষের আবাসস্হল।অনেক আগে যখন আমি চট্টগ্রাম কলেজে পড়তাম তখনকার গুলজার সিনেমা হল বর্তমানে গুলজার টাওয়ার “বাইবেল স্কুল” নামে এক ধরনের শিক্ষা মুলক প্রতিষ্ঠান ছিল যেখানে বাইবেল ও যিশুর জীবন কাহিনী প্রচারের নামে মুলত ঐ ধর্মকে প্রচার ও সাধারন মানুষকে ধর্মান্তরিত করার মানসে ও অসহায়দের দুর্বল খাতকে পুঁজি করে আর্থিক সহযোগিতা আর উন্নত দেশে নিয়ে যাওয়ার একটা কৌশল অবলম্বন করা হতো যা আমার এখনও মনে পড়ে।আমার বন্ধুবর নুরুল বশর সুজন সহ ঐ প্রতিষ্ঠানে আমার মাঝে মাঝে যাওয়া হতো।অনেকের মতে এড্রিকের হাসপাতালে অনেক ডিগ্রীধারি ডাক্তার
কাজ করতে চেয়ে ও এড্রিক তাদের সুযোগ দেয়নি।তবে মানবিক হতে গিয়ে অনেকে বিশ্বাস নাও করতে পারে।
তবে সত্য সব সময় সত্য।আমরা জানি এই ধরনের হাসপাতাল সাধরনত শহর থেকে দুরে হয়।যেমন চন্দ্রঘোনা মিশনারি হাসপাতাল সহ বাংলাদেশে অন্যান্য মিশনারি হাসপাতাল। হাসপাতাল গুলো ঐ স্হানে প্রতিষ্টা করা হয় যেখানে দারিদ্রতা,অশিক্ষা অনেকটা ভরপুর থাকে।একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে ১৫৯৯ খৃস্টাব্দে এই দেশে প্রথম অনুপ্রবেশ ঘটেছিল জেসুইট সম্প্রদায়ভুক্ত একটি দল যশোর জেলায়।পরবর্তীতে ১৬৭৯ খৃষ্টাব্দে গোয়ার অগাস্টিন সম্প্রদায়ের জনৈক সেন্ট (সন্যাসী) তার একটি পত্রে লিখেছিলেন,যশোরে ২ জন পর্তুগীজ সেন্টের হাতে ৪০০ জনকে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তাহাছাড়া একটি সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গত দু দশকে ১২-১৫ হাজার উপ জাতি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করেছে।অনেক উপজাতি ইতিমধ্যে নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ধর্মান্তরিত হয়েছে।তবে তারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাসপাতাল ও মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করে কুষ্ঠ রোগ সহ জটিল ব্যাধির চিকিৎসা করে যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।তবে একটি মাত্র লক্ষ্যকে সামনে রেখে,তা হলো এই দেশে খ্রিষ্ট ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসার। মানবতার পাশাপাশি তাদের ধর্মান্তরের একটি উদ্দেশ্য থাকে। ১৯৯২ সালে একটি জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায় চার্চ অব বাংলাদেশ নামে একটি খ্রিষ্টান মৌলবাদী এন,জি, ও সংস্থা ১৯৬৫ সালে কক্সবাজারের মালুমঘাটে একটি খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল স্থাপন করে। স্থানীয় জনসাধারনের দারিদ্রতা,অভাব ও নিরক্ষরতার সুযোগ নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ভিগা বি অলসন দীর্ঘ সময় খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারে তৎপর ছিলেন। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে অত্র এলাকায় যেখানে এক জন খ্রিষ্টানও ছিলনা সেখানে হাজার হাজার বয়স্ক নাগরিক খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করেছে।সে যাই হোক অন্য ধর্মের লোক যদি মানবিক হয়ে অন্যকে বুঝিয়ে নিজের ধর্ম প্রচার করতে পারে ও যিশুখৃষ্টের বানী প্রচার করতে পারে,সাথে সাথে মানবিকতার উদারন সৃষ্টি করে সেই ক্ষেত্রে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব,মানবতার দিশারী তার জীবন আদর্শ প্রচার তো দুরে থাক এখন অমুলক কথাবার্তা,কসাই মনোভাব নিয়ে আমরা নিজের আঁখের গােছাতে গিয়ে বিবেকবোধ হারিয়ে ফেলছি।আমরা হয়ে উঠছি এক একজন অমানবিক। এই দেশের মানুষের ভালবাসার টানে না হোক কথায় ও কাজে আমরা কি ওদের মত মানবিক হতে পারি না এখন মানবিক হওয়া আমাদের এক মাত্র সময়ের দাবি।।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত