চকরিয়ায় পৌরসভার কেন্দ্রীয় উঃবিঃস্মার্টকার্ড বিতরণ সমাপ্তিকালে কাউন্সিলর জিয়াবুলের প্রতি জনসাধারণের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোঃ নাজমুল সাঈদ সোহেল
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গতমাসের ১৬ আগস্ট থেকে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মোট ৪২ হাজার ৩০৬জনেকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শেষ হয়েছে। তৎমধ্যে চকরিয়া পৌরভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গত ১৬ আগষ্ট থেকে ৫সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে।স্মার্টকার্ড বিতরণ স্থান কাউন্সিলর জিয়াবুলের নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় শুরু থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত  তিনি জনসাধারণ ও স্মার্টকার্ড বিতরণ টিমকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করেন।চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রমতে, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪১১জন। উপজেলায় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বিতরণ শেষে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগনের মাঝে শুরু হয়েছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কর্মসুচি চলবে আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। শুরুতে  উপজেলা চত্তরে  আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে স্মার্ট বিতরণ কার্যক্রম। কর্মসুচির আওতায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে পাবেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৫জন ভোটার। তৎমধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দেশব্যাপী বিতরণ কর্মসুচির আওতায় উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় নতুন স্মাট জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৮১জন নারী-পুরুষ ভোটার। তারমধ্যে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে পাচ্ছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৫ জন ভোটার ও চকরিয়া পৌরসভায় পেয়েছেন ৪২ হাজার ৩০৬জন।তবে উপরোক্ত সংখ্যার ভোটারের মধ্যে যারা এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি তারা চলমান প্রকল্পের অধীনে এখনই স্মাট কার্ড পাবেন না। বিশেষ করে ১৯৯৯ সালের ২ জানুয়ারী থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত যাদের জন্ম এবং ২০১৭ সালে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তারা এই স্মাট কার্ড পাবেন না।সেই হিসেবে নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী চকরিয়া উপজেলার ১৫ হাজার ৩০ জন ভোটার স্মাট কার্ডের আওতায় আসছেন না। অবশ্য তাঁরা পরবর্তীতে কমিশনের নেওয়া নতুন প্রকল্পে স্মাট কার্ডের আওতায় আসবেন বলে জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
স্মার্টকার্ড বিতরণের টিম লিডার পলাশ শর্মা বলেন, কাউন্সিলর জিয়াবুল ভাই আমাদের স্মার্টকার্ড বিতরণের সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত জনসাধারণের বিভিন্ন সমস্যাদি সার্বক্ষণিক তদারকি করেন। এছাড়াও তিনি স্বউদ্যোগে বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপ করে সমস্যা সমাধানে আমার কাছে অসংখ্যবার সরণাপন্ন হয়েছেন। সরকারী ব্যাবস্থাপনায় দুপুরবেলা খাবার ব্যাবস্থা থাকলেও স্বউদ্যোগে তিনি নিজ অর্থায়নে আমাদের দুপুরের খাবার সবার জন্য প্রতিদিন ব্যাবস্থা করেছেন।প্রকৃতঅর্থে জিয়াবুল ভাই একজন উদার সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন,চকরিয়া পৌরভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গত ১৬ আগষ্ট থেকে ৫সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে।স্মার্টকার্ড বিতরণ স্থান কাউন্সিলর জিয়াবুলের নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় শুরু থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত  তিনি জনসাধারণ ও স্মার্টকার্ড বিতরণ টিমকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করেন।কাউন্সিলর জিয়াবুল সাহেব সত্যিকার অর্থে জনবান্দব একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি স্মার্টকার্ড অনুষ্ঠানকে সাফল্য মন্ডিত করার লক্ষে জনসাধারণকে নানাভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা প্রদান করে থাকেন যাহা স্মার্টকার্ড বিতরণকালে বিশেষভাবে পরিলক্ষীত হয়েছে।
স্থানীয় জনসাধারণ বলেন,কাউন্সিলর জিয়াবুলের সহযোগীতা ও সহমর্মিতা পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। কাউন্সিলর জিয়াবুল হক একজন জনবান্দব প্রতিনিধি। তিনি স্মার্টকার্ড বিতরণকালে লাইনে দাড়ানো বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের পাশে গিয়ে লাইন থেকে তাহাদের আলাদাভাবে তাহাদের হাতধরে নিয়ে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপসহ স্মার্টকার্ড প্রাপ্তিতে সহযোগীতা প্রদান করেন।তাহার উত্তরোত্তর সম্মৃদ্ধি কামনাসহ আগামীদিনে চকরিয়া পৌরসভার কর্ণধর হিসাবে দেখতে পৌরবাসী অনেকটা উদগ্রীব হয়ে আছেন।তিনি বরাবরের মত জনসাধারণের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে বার বার প্রমাণ করে চলছেন। সেই সাথে তাহার মঙ্গল কামনাকরছি।
কাউন্সিলর জিয়াবুল বলেন, গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের  সুখে-দুখে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা প্রদানসহ  পাশে দাড়াতে পারলেই  অনেকটা ধন্য এবং নিজে স্বস্থিবোধ করি।ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা আমার এবং আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি মানব সেবায় হল রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য। চকরিয়ার আপমর জনতার মাঝে  নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই সেবা এবং কর্মের মাধ্যমে। সাবার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।পাশাপাশি আমি এবং আমার পরিবারের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রত্যয়ী।
সদা মিষ্টিভাষী হাস্যোজ্জল কাউন্সিলর জিয়াবুল এগিয়ে যেতে চাই তার কর্মপন্থা, দেশ এবং দশের সেবার ব্রতলয়ে মানুষের আন্তরিকতা ও ভালবাসায় নিজেকে উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে চান বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত