প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
১৭ ডিসেম্বর কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতায় কক্সবাজারের টেকনাফে কথিত সাংবাদিক গ্রেপ্তার শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঐ সংবাদে ইয়াছিন আরাফাতকে টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটি’র কার্য নির্বাহী সদস্য উল্লেখ করা হয়েছে। টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটি গঠন থেকে আজ পর্যন্ত ইয়াছিন আরাফাত কোনদিন সদস্য ছিলেন না এবং এখনো নেই। এই একাংশের সংবাদের আমরা প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হলো স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়ের ইয়াবা তালিকায় টেকনাফের অনেক সাংবাদিকের নাম রয়েছে। আবার অনেক সাংবাদিকের চাচা,মামা,খালু,চাচাতভাই, জেঠাতভাই,মামাতভাই,ফুফাত ভাই,দুলাভাইদেরও নাম রয়েছে। অনেক সাংবাদিকের ভাই,চাচা,চাচাতভাই,ফুফাতভাই,ইয়াবা মামলা নিয়ে কারাগারে রয়েছে। ১০২ জনের আত্নসর্মপণেও অনেকের আত্নীয়স্বজন রয়েছে। টেকনাফে এমন সাংবাদিকও রয়েছে মাদক সেবন করে নোঙ্গরে ভর্তি হয়েছিল। এগুলি আড়াল করতে এরা সবাই টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির মানক্ষুন্ন করার জন্য সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। যেমন হ্নীলা ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাংবাদিক জামাল উদ্দিন কোন সংগঠনে ছিলেন। বন্দুকযুদ্ধে নিহত হোয়াইক্যংয়ের মুফিজ সাংবাদিক ফোরামের যুগ্ন সম্পদক মিজানের আপন বড়ভাই। আত্মসমর্পণের সময় মঞ্চে অভিমত প্রদানকারী মোঃ সিরাজ ক্রাইম রিপোটার্স সোসাইটির অর্থ সম্পাদক শহিদ উল্লাহর আপন বড়ভাই। আত্মসমর্পণকারী অলিয়াবাদের মারুফ-বিন-খলিল বাবুইয়া কোন সাংবাদিকের আপন খালাত ভাই? সাংবাদিক সংগঠন ও টেকনাফের সংবাদকর্মীদের বায়োডাটা অনুসন্ধান করলে বুঝতে পারবেন কারা ইয়াবা সংশ্লিষ্টতায় রয়েছে। টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির তালিকা প্রশাসনের কাছে সংরক্ষিত আছে। সে তালিকায় ইয়াছিন আরাফাতের নাম আছে কিনা যাচাই করে দেখুন। তার নাম যদি সেখানে না থাকে সাংবাদিক ইউনিটিকে নিয়া টানা হেচড়া করার কি দরকার আছে? হা আছে নিজেদের দোষ আড়াল করতে আরেকজনকে দোষ দেয়। সে জন্যই কয়েকদিন আগে সাংবাদিক ইউনিটিকে জড়িয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। এ সংগঠনে নাকি জামায়াত-বিএনপির লোক রয়েছে। রাজনীতি করা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে। আমাদের সাথে রয়েছে তাদের বেলায় যদি সমালোচনা হয় তাহলে তাদের সাথে থাকলে তাদের বেলায় কি হবে? তাদের সংগঠনে যারা রয়েছেন সাংবাদিক তাহের নঈম জাতীয়তাবাদী উপজেলা ওলামাদলের সভাপতি ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর ও অবমাননাকারী মামলার আসামী। ক্রাইম রিপোর্টাস সোসাইটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ভুলু পৌর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি, টেকনাফ থানা ভাংচুর মামলার আসামী। সাংবাদিক ফোরামের সিঃ সহ-সভাপতি আমান উল্লাহ কবির উপজেলা ছাত্রদলের নেতা, সহ-সভাপতি বাহারছড়ার মোজাম্মেল হক বাহার জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার, সাংবাদিক ফোরামের যুগ্ন সম্পাদক আহমদ শফি বর্তমান উপজেলা ছাত্রদল কমিটির যুগ্ন আহবায়ক, সাংবাদিক ফোরামের কোষাধক্ষ্য নাছির উদ্দিন রাজ বর্তমানে হ্নীলা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি। বিএনপি-জামায়াতের পদবী ছাড়া অনেকেই রয়েছে। এবার সচেতনমহল বিবেচনা করে দেখুন কোন সাংবাদিকরা বিএনপি-জামায়াত ও ইয়াবার সাথে সংশ্লিষ্ট? বিবৃতিদাতাঃ-
সাইফুল ইসলাম সাইফী
সভাপতি
ও
নুরুল হোসাইন
সাধারণ সম্পাদক
টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটি।