মোঃ নাজমুল সাঈদ সোহেল
চকরিয়া (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অগ্নিকান্ডে আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্থ চা-বাগান রোড এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহয়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ওইদিন সকালের দিকে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকান্ডে ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও প্যানেল চেয়ারম্যান শওকতুল ইসলাম।
অগ্নিকান্ডের ঘটনার ব্যাপারে ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, মঙ্গলবার রাত্রে মালুমঘাট চা-বাগান রোড এলাকায় দোকান ব্যবসায়ীরা যার যার মতো করে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। বুধবার ভোর রাত তিনটার দিকে হঠাৎ জেনারেটর দোকান থেকে আগুন সৃষ্টি হয়ে মূহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখায় ওই দোকানের আশ পাশের ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী পৌছে অন্যান্য দোকান অাগুন নিয়ন্ত্রণ এনে অবশিষ্ট শতাধিক দোকান পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন। তিনি আরও বলেন, আপুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে ২টি মুদির দোকান, ১টি ডিপার্টমেন্টাল (কসমেটিক) দোকান, ১টি সেলুনের দোকান, ১টি মোবাইলের দোকান ও একটি জেনারেটর দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নির্দ্দিষ্ট সময়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে না পৌছলে বাজার এলাকায় সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে আরো বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হতো বলে স্থানীয়রা জানায়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, মালুমঘাট এলাকায় অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরির্দশন করা হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করে তালিকা পাঠানোর জন্য ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়।