বাঁশখালী প্রতিনিধিঃঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বলে ইউনিয়নের পাহাড়ের পাদদেশে ফের র্যাব ৭ এর একটি দল অভিযান পরিচালনা করেছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে অভিযানে ৪ বনদূস্যকে আটক করে। এ সময় দক্ষিণ চাম্বল শেখেরখীল রাস্তার মাথা স্থানীয় নাছিরের মালিকানাধীন স-মিল থেকে বনদূস্যদের কর্তনকৃত প্রায় শতাধিক গর্জন গাছ জব্দ করে। আটকৃতদের মধ্যে ডাকাতি, ধর্ষন, হত্যা,অস্ত্র ও বন আইনের একাধিক মামলার দুর্ধষ পলাতাক আসামি মোঃ জসিম উদ্দীন প্রকাশ পুইত্তা (৩১) ও রয়েছে। অপরদিকে চাম্বল ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা থেকে ৮০০ ঘনফুট চোরাই কাঠ (সেগুন ও গর্জন) সহ ফিরোজুল ইসলাম (৩৮), আলীআহমদ (৩৬) ও সাবের আহমদকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। এ দিকে দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় ফরিদের নেতৃত্বে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট বনকর্মীদের জিম্মিকরে চাম্বলের পাহাড় হতে মূলবান গর্জন সহ বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ ও পাহাড়ের মাঠি কেটে আসছিল বনদূস্যদের বিশাল একটি সিন্ডিকেট। র্যাব ৭ এর একাধিক অভিযানের ফলে সরকারি বনসম্পদের অনেকটা রক্ষা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। র্যাব ৭ এর এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বন্যপ্রাণী ও বনাচঞ্চল সংরক্ষন বিভাগের জলদী অভ্যায়রন্য চাম্বল, নাপোড়া ও পুইঁছুড়ির পাহাড়ি এলাকায় গর্জন গাছ কর্তন ও পাহাড়ি মাঠি কাটার বনদূস্যদের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবৎ বেপরোয়া তান্ডব ছালাচ্ছিল এরই পরিপেক্ষিতে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা র্যাব সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করে আসছিল। এ ব্যাপারে জলদী অভ্যায়রন্য রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জান শেখ বলেন, জলদী অভ্যায়রন্য রেঞ্জের চাম্বল সহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী বনদূস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। র্যাবের অভিযানে প্রায় শতাধিক গর্জন গাছের খুঁটি উদ্ধার করা হয়েছে। বনরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাদেরকে অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখায় বনদূস্যর দল। সরকারি বনসম্পদ রক্ষার্থে ঘটনাটি আমার উধ্বর্তন কতৃপক্ষকে অভিহিত করি। 'আটকৃতদের বিরুদ্ধে বনআইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাছাড়া র্যাব অভিযানের ফলে বনজসম্পদ রক্ষা পাবে বলেও তিনি জানান। র্যাব ৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, পৃথক অভিযানে অস্ত্র ও চোরাই কাঠ সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদেরকে বাঁশখালী থানার কাছে হস্তান্তর করা হবে।'