সকলের জন্য শুভ হোক নতুন বছর, বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্টা করা হোক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোঃ কামাল হোসেনঃ

পৃথিবীটা কতো রঙবেরঙ, কতো সুন্দর, কতো সংস্কৃতি এ পৃথিবীর মানুষের মাঝে। আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত কতো ধর্মের কতো কর্মের গবেষণা করে যাবে এ পৃথিবীর মানুষেরা তা বলা সম্ভব নয়। কতো দল কতো উপদল কতো মাজহাব কতো তরিকায় বিভক্ত হবে মানুষ তাও বলার বাহিরে। সুন্দর এই পৃথিবীতে অশান্তির দাবানল জালিয়ে রাখছে প্রতিনিয়ত কিছু ক্ষমতাধর রাষ্ট্র। সেই আদি থেকে পৃথিবীর সর্বময় চলছে ক্ষমতার অপব্যবহার, দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার। বিশ্বের সকল মানুষের কল্যণের জন্য প্রতিষ্ঠিত জাতীসংঘ নামক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি চেষ্ঠা করে চলছে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। তবু আন্তর্জাতিক এই মহা প্রতিষ্ঠানটি পারেনা সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। কারণ সেই প্রতিষ্ঠানটিকেও ক্ষমতাধর মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর ইশারাতে চলতে হয়। তাই জাতীসংঘ নামক সেই মহা প্রতিষ্ঠানটিও ব্যর্থ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায়। ক্ষমতাধর মোড়ল রাষ্ট্রগুলো আজ মধ্যপ্রাচ্যসহ প্রায় সমগ্র বিশ্বে যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই রেখেছে। তাদের সেই নির্লজ্ব অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেনা নারী ও শিশুরা পর্যন্ত। অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহন করা মানুষ হচ্ছে অধিকার হারা। শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত শ্রেনীর মানুষের পক্ষে কথা বলতে গেলেও বিপদ। হা করে তাকিয়ে থেকে শুধু দেখছি আর শুনছি প্রতিনিয়ত এই আর্তনাদ। করার কিছুই নেই। কারন যেখানে শোষক শ্রেনীর শাসকদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো সেখানে সাধারণ জনগন কি আর করবে। ২০২০ সালের প্রথম প্রহরে ধিক্কার জানাই যারা এ পৃথিবীতে সন্ত্রাস হানাহানি মারামারি জিইয়ে রেখেছে তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। শোষক শ্রেনীর ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো তাদের করিডোর বানাতে ছোট ও দূর্বল দেশগুলোকে দখল করতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই রাখছে। এতে চলছে তাদের প্রধান ব্যবসা অস্ত্র ও সামরিক যন্ত্রপাতির ব্যবসা। তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধ্বংস করে দিচ্ছে বিশ্বের অনেক দেশের হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন, সভ্যতা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি। পঙ্গু করে দিচ্ছে অনেক দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র। অবরোধের নামে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে। শান্তিময় পৃথিবী গড়ার কোন উদ্যোগ নেই ক্ষমতাধর মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর। মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার যে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা সমগ্র বিশ্বে প্রসংশিত হলেও মিয়ানমার রাষ্ট্রটির শাসকদের উগ্রতা প্রদর্শন এখনো বন্ধ হয়নি। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে কোন পদক্ষেপকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা। বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারের উগ্রতার ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না? এ ক্ষেত্রে অন্য কোন রাষ্ট্র হলে কী ব্যবস্থা নিতো না?। নতুন বছরের সুচনালগ্নে ক্ষমতাধর মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আমার প্রশ্ন রইল। ২০২০ সালের প্রথম দিবসে নববর্ষের শপথ হোক রাষ্ট্রহীন বাস্তহারা মানুষদেরকে রাষ্ট্র দেওয়া হোক, অধিকার বঞ্চিত মানুষদের অধিকার দেওয়া হোক। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ভেদাভেদ ভুলে বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্টা করা হোক। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলের জন্য শুভ হোক নববর্ষ ২০২০ সাল। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু।
লেখক, সাংবাদিক কামাল হোসেন।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত