
কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পাহাড়ের সংঘাত বন্ধ করে স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’ বাস্তবায়ন করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহা সড়কে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। পার্বত্যাঞ্চলের মানুষরাও এখন আর পিছিয়ে নেই।শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি এ কথা বলেন।বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের ফলে পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটন খাতের বিকাশ ও উন্নয়নে দেশে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চারের ইভেন্টগুলো দেশ-বিদেশী তরুন সমাজ সহ পর্যটকদের আরও বেশী অনুপ্রাণিত করবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ৫ দিনব্যাপী উৎসব অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা (এনডিসি)। আলমগীর হোসেন এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার , সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা , ওসিয়ান সেলর এন্ড অ্যাডভেঞ্চারের প্রতিনিধি মিস এ্যানি কোয়েমেরি, কাপ্তাই নৌ বাহিনী শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটির অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম.এ মুকিত খান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ.কে.এম মামুনুর রশিদ, রাঙামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম। এসময় রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচিং মারমা, শান্তনা চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, কাপ্তাই সার্কেলের এ.এস.পি জুনায়েদ কাউসার, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অংসুই ছাইন চৌধুরী, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলীল, কর্ণফুলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম বেলাল চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কাপ্তাই থানার ওসি নাছির উদ্দিন সহ সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং সমাজের নানা শ্রেনী পেশার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্হিত ছিলেন। এদিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের আয়োজিত এই অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে পার্বত্যাঞ্চল থেকে ৩১জন, দেশের অন্যান্য স্থান হতে ৫০জন এবং বিদেশী ১৬জন সহ মোট ১’শ জন অ্যাডভেঞ্চারে অংশগ্রহণে করেন। এর আগে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ঝুলন দত্ত এবং ফনিন্দ্রলাল ত্রিপুরার পরিচালনায় উৎসবে শতকন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পরে বেলুন উড়িয়ে ও পায়রা অবমুক্ত করার মাধ্যমে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।