“তুলা কোম্পানি” কালজয়ী মহামানবের চিরবিদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আলহাজ্ব অলি আহমেদ প্রকাশ তুলা কোম্পানি গত ২৮ জানুয়ারি ২০২০ইং (মঙ্গলবার) রাত ১টা ৩০ মিনিটে নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”। তিনি জন্মগ্রহণ করেন – ০১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ (শনিবার) মৃত্যুবরণ করেন – ২৮ জানুয়ারি ২০২০ (মঙ্গলবার) পৃথিবীতে ছিলেন- ৮৯ বছর, ১১ মাস, ২৭দিন তিনি (তুলা কোম্পানি) পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ডের একজন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, দানশীল, ধর্মঅনুরাগী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ছিলেন মহান এই মানব। স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, এতিমখানাতে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ভাবে টাকা- পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করছে । সেইসাথে নিজ এলাকার প্রতিবেশী ও গরীব আত্মীয়-স্বজনদের সবসময় সাহায্য ও সহযোগিতা করেছিলেন, যারকারণে- বিভিন্ন স্থানে গরীবের বন্ধু বলেই, বেশ পরিচিত ছিলেন “তুলা কোম্পানি”৯০ বছর বয়স হয়েছিলো আলহাজ্ব অলি আহমেদ প্রকাশ তুলা কোম্পানির। প্রায় এক শতাব্দী দেখা এই মানব ব্রিটিশ দেখেছে, পাকিস্তান দেখেছে ও বর্তমানের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল উন্নয়নশীল বাংলা দেখেছেন। তুলা কোম্পানি শুধু একটি এলাকার নাম নয়, চট্টলার একটি ঐতিহ্যবাহী সকলের পরিচিত নামও। চট্টলা শহরের এমন কোনো স্থান নেই, যেখান থেকে তুলা কোম্পানিকে চিনেন না। বহু বছর অনেক কষ্ট করেছেন আর অর্জন করেছেন অসংখ্য সম্মান। চট্টগ্রাম শহরে প্রচুর জায়গা – সম্পত্তি ওয়ালা ব্যক্তি ও শহরের কয়েকজন সম্মানিত ব্যক্তির মধ্যে, আলহাজ্ব অলি আহমেদ প্রকাশ তুলা কোম্পানি ছিলেন অন্যতম। মৃত্যুর আগে নিজের চোখে দেখেছেন নিজের প্রিয় ও বড় নাতনী- হালিমা জসীম রুমকির বিয়ে, মৃত্যুর ৮দিন আগে একই হাসপাতালে জন্ম নিয়েছিলেন ছেলের ঘরে বড় নাতনীর(হালিমা) বড় পুতি। চট্টলার কয়েকটি বড় ও বিশাল পরিবারের মধ্যে, তুলা কোম্পানি পরিবার হলো অন্যতম। মরহুমা মজলিশ খাতুন ও মরহুমা নুরজাহান বেগম- দুই স্ত্রীর মধ্যে দুইজনই ২০১০ ও ২০১৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন । দুই স্ত্রী মিলে “তুলা কোম্পানির” ৯ ছেলে ও ৫ মেয়ে। সবার বড় ছেলের নাম মোহাম্মদ ইলিয়াছ কোম্পানি, বড় ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াছের পর ইউসুফ, হারুন, ইবরাহিম, সেলিম, মরহুম ইদ্রিস মিয়া, জসীম, আইয়ুব, বাদশাহ ও বড় মেয়ে জৈয়তন আরা বেগমের পর শামসুন্নাহার, পারবিন, জাহানারা বেগম এবং মরহুমা নাছিম আকতার জন্মগ্রহণ করেন ঐতিহ্যবাহী তুলা কোম্পানি পরিবারে । বর্ষীয়ান তুলা কোম্পানির রেখে গেয়েছেন অসংখ্য নাতি-নাতনী ও পুতি। চট্টলার এক অসাধারণ মানব, সাধারণ মানুষের- বিপদের বন্ধু আর পড়ালেখা বিহীন অসম্ভব অসাধারণ মানুষের মধ্যে, সম্পূর্ণ একজন মহৎ ও মহান মানুষ ছিলেন তুলা কোম্পানি। শৈশবকাল থেকে ( তুলা কোম্পানি) ডানপিটে ছিলো, ছিলেন একজন সফল মানব। পড়া- লেখা করার আগেই, প্রচুর জ্ঞানীগুণী ছিলেন। বর্তমানের মানুষ- পড়ালেখা শেষে চাকরির মত সোনার হরিণ খোজে কিন্তু এই মহৎ মানব ছোটকাল থেকেই ব্যবসার মধ্যে ডুবে ছিল। না বললে নয়, আজকাল এমন মহৎ ও মহান মানুষ আমাদের সমাজে, দেশে ও জাতে সম্পূর্ণ বিরল। উনি (তুলা কোম্পানি) আমাদের দেশের ও সমাজের গর্ব। এই কালজয়ী মানব মৃত্যুর আগে মানসিক ও শারীরিক ভাবে প্রচুর অসুস্থ ছিলেন। পিতা মরহুম আব্দুল হক ও মাতা মরহুম মল্লিকা খাতুনের কোলজুড়ে এই কালজয়ী মানবের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ সালে নগরীর চালিদাতলীর পূর্ব মসজিদ এলাকায় (পুরান বাড়ি)।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত