বার্তা, বিস্ মিল্লাহির রাহ মানির রাহিম।

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত অন্তত যত কষ্ট হোক আগামী দুইসপ্তাহ নিজকে মানবাধিকার নেতা,জনদরদী সমাজ সেবক গরীবের বন্ধু প্রমান করতে যারা ঘর থেকে বের হবে তাদের বিষয়ে প্রশাসন যেন কঠোর ব্যবস্হা গ্রহন করে।এই মুহুর্তে নিজ,নিজ ঘরে অবস্হান করা মানে আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানবাধিকার নেতা,জনদরদী সমাজ সেবক।আপনি যদি আগামী ২ সপ্তাহ ঘরে বন্ধি থাকেন তাহলেএই দেশ ইতালী,যুক্তরাষ্ট বা স্পেন হবে না।আপনাকে অনেকেই বলবে আপনি সমাজ সেবক মানবাধিকার নেতা,সমাজে আপনার দায়বদ্ধতা রয়েছে আপনার দায়বদ্ধতার কথা শুনাবে আপনাকে সমাজের যে কোন দূর্যোগ মুহুর্তে দেখা যেত এখন দেখা যাচ্ছে না আর ও কতকি-ওদের কোন কথা কান না দিয়ে আপনি সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন।সরকার অসহায় মানুষেরজন্য যে কর্মসুচী গ্রহন করেছে তা মেনে নিয়ে প্রসাশন কে সহযোগিতা করুন।
এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেই এইটি ছাড়া কোন বিকল্প উপায় নেই।আতন্ক বা গুজব নয় ইতালী প্রবাসী এক বন্ধুর সাথে কথা বলে জানা যায় এইটি কি পরিমানে ভয়াবহ তা অনুধাবন করে তারা ঘরের জনালা পর্যন্ত বন্ধ রেখেছে।
ঐ দেশের তুলনায় আমরা অসচেতন,চিকিৎসা শাস্ত্র সহ
সর্বক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।আজঐ দেশে কবর দেওয়ার লোক পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।ইরানে গন কবর দেওয়া হচ্ছে।চীনে যখন এই কর্মযজ্ঞ চলছিল তখন আমরা শুধু সমবেদনা জানিয়েছিলাম।
সচেতনতা সহ কার্যকর ব্যবস্হা নিতে ব্যর্থ হয়েছি মুলত
আমাদের সীমাবদ্ধতার কারনে।মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে
ইউরোপ সহ পুরো বিশ্ব আজ অসহায়।আমরা দেরীতে
হলেও এখনও সময় আছে বাকি দিন গুলো যতই কষ্ট হোক -যে সময় টুকু রয়েছে তা যদি কাজে লাগাই তবে
মানবতার জয় সুনিশ্চিত।
সমস্হ কর্মযজ্ঞ না হয় সাপ্তাহ দুয়েক মুলতবী থাকবে।আমি আপনি নিম্মআয়ের মানুষ যারা তাদের অসহনীয় কষ্ট হবে তা আমি জানি।কিন্তু এই দেশকে বাঁচাতে এই টুকু কষ্ট করে এই যুদ্ধে আমাকে আপনাকে জয় লাভ করতেই হবে।
না হয়-মাসের পর মাস আপনি এই ভাইরাস নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন,নিজে মরবেন আমাকে মারবেন বিশেষ করে আপনার প্রিয়তমা স্ত্রীসহ কলিজার টুকরো সন্তানদের হারাবেন।
বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা অনুযায়ী ওদের দাফন,কাপনে
আমি,আপনি উপস্হিত থাকতে পারব না। আতন্ক নয়,নিজকে সচেতন করা সরকারকে বিশেষ ভাবে সহযোগিতা এখন আমাদের একমাত্র কাজ।

ইতালির অবস্থা খুবই খারাপ। কবর দেওয়ার লোক পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। ইতালিতে এক একদিনে আজ আটশোর কাছাকাছি লোক মারা যাচ্ছে। ইরানে গণ কবর খোঁড়া হচ্ছে।যতদিন চীনে এরকম হচ্ছিল- খবর পাচ্ছিলাম উহান প্রদেশ উজাড় হয়ে যাচ্ছে ততদিন আমরা সবাই সারাবিশ্ব বসে সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করিনি।
তাই আজ ইউরোপ সহ সারাবিশ্বের এই অবস্থা। অাসুন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে,বন্ধুর অফিসে,চায়ের দোকান পরিহার করি।খেয়ে না খেয়ে ২ সাপ্তাহ অপেক্ষা করি। সাধারন হাইজিন মেনে চলি বিশেষ করে খাবার আগে
বা প্রতি ঘন্টায় কয়েকবার সাধারন সাবান ফেনা দিয়ে ভাল ভাবে হাত ধুঁয়ে নিই।
নাকে, মুখে যতদুর সম্ভব হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকি
সবাই মানছে না আমি মানবো না এই মানসিকতা হতে
বের হয়ে আসি।আমরা যারা বয়স্ক,যাদের ডায়াবেটিস কিডনী জটিলতা,প্রেসার রয়েছে এদের সংস্পর্শে এসে
এদের মৃত্যুকে নিশ্চিত না করি।আমরা সবাই শুভ বুদ্ধি
সম্পন্ন মানুষরাযদি সরকারের নির্দেশ মেনে চলি তাহলে
আপনি,আমি,দেশ সুস্হ থাকবে।প্রিয় মানুষদের হাসি
আবার আপনাকে আগামীর পথ চলতে অনুপ্রেরনা যোগাবে।আসুন পৃথিবীর উন্নত দেশ যা পারেনি আমি আপনি তা করে দেখিয়ে দিই আমরা বীরের জাতি মাত্র
নয় মাসের যুদ্ধে দেশ স্বাধীন করেছি সেখানে মাত্র ১৪টি দিন যুদ্ধ করে এই ব্যাতিক্রম ভয়াবহ যুদ্ধেই আমরা জয় লাভ করবো।

আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
মোঃ কামরুল ইসলাম
সভাপতি
এএইচএমআরএস
চট্টগ্রাম।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত