ডাকঘর খোলা কিন্তু লেনদেন নেই, এসে ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রীকান্ত চৌধুরী / মোঃ-সেকান্দর হোসেন (শান্ত) রাঙ্গুনীয়াঃ

সরকারি নির্দেশে রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে সীমিত আকারে ডাকঘর খোলা রাখার কথা বললেও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ডাকঘরে দুইদিন ধরে কোনো লেনদেন হয়নি। এমনকি কোনো চিঠিপত্র কিংবা পার্সেল যায়নি এবং আসেনি। বিষয়টি জানিয়েছেন উপজেলা ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার মো. মহিউদ্দিন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সরকার ডাকসেবা অব্যাহত রাখার জন্য ৫ এপ্রিল রোববার থেকে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে ডাকঘর খোলা রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু এখানে কেউ টাকা জমা দিতে আসছেনা। ডাকঘরে টাকা না থাকায় সঞ্চয় কিংবা লভ্যাংশের টাকা দেয়াও সম্ভব হচ্ছেনা। বাইরে থেকে ডাক আসছেনা এবং যাচ্ছেনা। ডাক গাড়ি না আসলে ই-কমার্স চালু সম্ভব নয়। জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জামাদি হলে নেয়া যাবে তবে ডাক গাড়ি না আসলে পার্সেল পড়ে থাকবে এখানে। মোবাইল মানি অর্ডার সেবা দেয়া যাবে। তবে দুইদিনে কেউ আসেনি। গতকাল সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা ডাকঘরে গিয়ে দেখা যায় ফটকের ভিতর থেকে তালা দেয়া। পরিচয় দিয়ে ঢুকতে চাইলে ডাকঘরের এক কর্মচারী তালা খুলে দেন। ভিতরে ঢুকতে ভবনের মুল দরজা বন্ধ। প্রবেশ করতে চাইলে দরজা খুলে দেয়া হয়। ভিতরে ৫ থেকে ৬ জন কর্মকর্তা নিজ নিজ চেয়ারে বসে আছেন। কোনো গ্রাহক নেই। চলে আসার সময় ফটকের বাইরে রাস্তায় দাঁড়ানো এক ব্যক্তি। তাঁর নাম মো. ইউনুছ (৫০) জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কে গাড়ি নেই। লালানগর ইউনিয়ন থেকে পাঁয়ে হেটে তিনি এখানে এসেছেন। ঘরে চাল, ডাল নেই। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাজার করবেন। কিন্তু ডাকঘর থেকে কোনো টাকা পাননি। ১৪ এপ্রিল তাঁকে আসতে বলেছেন। এতদিন তিনি কি করবেন বুঝতে পারছেন না। এই সময় পার্সেল দিতে ডাকঘরে ঢুকতে চান সৈয়দবাড়ি এলাকার এক ব্যক্তি। ডাকঘরের এক কর্মচারী পার্সেল যাবেনা বললে তিনি ভিতরে প্রবেশ না করে চলে যান। নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক ডাকঘরের এক কর্মকর্তা বলেন, ডাকঘরে কোনো লেনদেন, পার্সেল কিংবা চিঠিপত্র আদান প্রদান কেন হচ্ছেনা উর্ধত্বন অফিস জানে। কার্যক্রম না চললে ডাকঘর খোলা রেখে লাভ কি।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত