
বিশু তনচংগ্যা কাপ্তাই,
পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ঐতিহ্যবাহী কেপিএম মিলকে আবারোও লাভজনক করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে, ইতিমধ্যে বিসিআইসির মাধ্যমে সরকার কেপিএম এর জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে, আমরা আজকে পরিদর্শনে এসে যে সমস্ত সমস্যা আজ তাহা সরকারের কাছে তুলে ধরে সমাধান করবো। তিনি অারও বলেন, মৃতপ্রায় এই মিলসকে কিভাবে সচল করা যায় তা অামরা বৃহস্পতিবার স্থায়ী কমিটির অালোচনায় তুলবো। অামরা এই মিলসের পুনঃগঠন চাই, সচল চাই, অামাদের দেশের কাগজের ঘাটতি পূরণে কেপিএম যেমন ভুমিকা রেখেছিল তেমনি ভবিষৎ এ ও সভ্যতার উন্নয়নে, স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে এই মিলস ভুমিকা রাখবে। বিশ্ব বাজারের সাথে টিকে রাখার জন্য অামরা কেপিএমকে অারও অাধুনিকায়ন করবো।
তিনি আজ বুধবার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কেপিএম গেস্ট হাউসে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির বৈঠকে কেপিএম মিলকে কিভাবে লাভজনক করা যায় সেই সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। মতবিনিময় সভায় রাঙামাটি সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র কাপ্তাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এই পেপার মিলসটি অতীতে যেমন এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে, ভবিষৎ এ ও এই মিলসটি অাবারও লোকসান কাটিয়ে উঠে অাবারও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে।
রাংগামাটি সাংসদ উষাতন তালুকদারের একান্ত সহকারী এম আর হোসাইন জহিরের সঞ্চালনায় এই সময় কমিটির সদস্য রাংগামাটির সাংসদ উষাতন তালুকদার, পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, শিল্প মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব জিয়াউর রহমান খান,পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ নুরুল হাদী, পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সচিব এ কিউ এম নাছির উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম হুমায়ন কবির, বিসিআইসির পরিচালক(উৎপাদন ও গবেষণা ) মো: শাহীন কামাল, উদ্ধর্তন মহাব্যবস্থাপক( উৎপাদন) মো: আসাদুর রহমান টিপু, রাংগামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুপ্রু চৌধুরী, জেলা পদপরিষদ সদস্য সান্তনা চাকমা,কেপিএম এর ব্যবস্হাপনা পরিচালক ড: এম এম এ কাদের, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনিছুর রহমান সহ কেপিএম এর সকল বিভাগীয় প্রধানগণ, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্হিত ছিলেন। পরে সংসদীয় কমিটি কেপিএম মিল পরিদর্শন করেন।