রাঙ্গুনিয়ায় বিভিন্ন গ্রামে স্বউদ্যোগে দেয়া লকডাউন তুলে নিল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

মোঃ-সেকান্দর হোসেন (শান্ত)

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় দেয়া প্রতিবন্ধকতা তুলে নিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পৌর এলাকা ও কয়েকটি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৭০ টি ব্যারিকেড তুলে নেয়া হয়। স্থানীয় লোকজনের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এসব ব্যারিকেড তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এ এস আই ) মো. মকছুদ আহমদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” একেকটি গ্রামে একাধিক ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। সারাদিনের অভিযানে ৭০ টি ব্যারিকেড তুলে নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশনা ছাড়া লগডাউন করা কিংবা সড়কে ব্যারিকেড দেয়ার নিয়ম নেই। সড়কে ব্যারিকেড দেয়া ফৌজদারি অপরাধ। গ্রামের সড়কগুলো বন্ধ করে দেয়ার কারনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও জরুরী পরিবহন গ্রামে ঢুকতে পারছেনা, মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিজেদের সুরক্ষা করতে হবে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবেনা। সোমবার থেকে উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ২২ গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় লকডাউন করে দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লগডাউন করা এসব গ্রামের ছবি দিয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গ্রাম থেকে বের না হতে আবার বাইরের কাউকেও গ্রামে না আসতে বার্তা দেয়া হয়। গ্রামের প্রবেশ পথে বাঁশ বেঁধে পুরো যাতায়ত বন্ধ করে দেয়া হয়। কেউ কেউ সড়কে গাছে গুঁড়ি ফেলে বন্ধ করে দেন। স্বেচ্ছায় লগডাউন করার কারনে অনেক এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠে। কিছু অতি উৎসাহী মানুষ লকডাউনের নামে গ্রাম, মহল্লা, পাড়ার রাস্তার মুখে শক্ত ব্যারিকেড তৈরি করেছে। ওই এলাকার যদি কোন জরুরী রোগী কিংবা প্রসূতি রুগীকে নিয়ে যেতে চাইলে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। লগডাউন করা এলাকার মধ্যে কোন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যাতায়ত করেন তাহলে তাঁরও অসুবিধা হবে। আগুন ধরলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতেও অসুবিধা হবে।
লকডাউন মানে গ্রামের রাস্তার মুখে ব্যারিকেড নয়,নিজে ঘরে থাকুন,নিজের পরিবারকে ঘরে রাখুন। কেউ যাতে লগডাউনের নামে সড়কে ব্যারিকেড না দেয়। স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের মূল প্রবেশপথে লকডাউন করলেও জরুরী গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে বের হতে সে ব্যবস্থা করে লগডাউন করা হয়েছে জরুরী প্রয়োজনে গাড়ি ঢুকতে কিংবা বের হতে সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
লকডাউন করা গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সরকারি নির্দেশনা ভেঙে আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন তাদের গ্রামগুলোতে আড্ডা দিতে আসেন। অনেক তরুন মাঠে খেলতে আসেন। এতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে বিধায় তাঁরা সড়কে বাঁশের খুঁটি বেঁধে বন্ধ করে দেন।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত