কাজী কামরুল হাসান শামীম, ওমান থেকেঃ
এই মুহূর্তে খুব বেশী আতংকে এবং ঝুঁকির মধ্য আছে আমাদের দেশের সোনালী সন্তান রেমিটেন্সযোদ্ধারা । পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী রেমিটেন্সযোদ্ধারা হতাশার মধ্য দিন কাটাচ্ছে- একদিকে দেশ ভয়াবহ বিপদ সীমার উপর অন্যদিকে নিজেদের অবস্থানকারী বিভিন্ন দেশ করোনার ভয়াবহ ছোবলে আক্রান্ত। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী শতাধিক রেমিটেন্সযোদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসহায়ভাবে শাহাদাত বরণ করেছেন। একদিকে দেশ একজন রেমিটেন্স প্রেরণকারী ব্যক্তিকে হারালো, অন্যদিকে পরিবার হারালো আয় উপার্জনকারী ব্যক্তিকে, এই বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারনে এই পর্যন্ত ৮০+ প্রবাসী পরিবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে, পরিবারে নেমে আসলো দু:খের দিন, ভবিষ্যৎ তাদের ভাগ্য কি জুটবে তা তাদের জানা নেই। সরকার দেশে করোনা প্রতিরোধে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার সহায়তা প্যাকেজ ঘোষনা করেছে। পরিস্হিতি মোকাবেলায় রাষ্ট্রের বিশাল অংকের এই বাজেটকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং এটার সুষম বন্টনের দিকে খেয়াল করার আহবান জানাচ্ছি একজন প্রবাসী হিসেবে। এই প্যাকেজে ৫ টি খাতকে নির্ধারণ করা হয়েছে- ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ওর্য়াকিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদানে ২০ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত EDF এর জন্য ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, প্রি শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কীম নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋন সুবিধা ৫ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতনভাতা প্রদানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা। ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার বিশাল প্যাকেজে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের ব্যাপারে কোন কিছুই উল্লেখ না থাকায় একজন প্রবাসী হিসেবে খুবই আহত হলাম এবং প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারও আশ্চর্য হলো এবং চরম হতাশ হলো। তারপরও রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ যে সমস্ত প্রবাসী মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে শাহাদাত বরণ করছে তারা কিন্তু দেশের মাটিতে সমাহিত হওয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন। পরিবার পরিজনও শেষ দেখাটুকু দেখার সুযোগ পাচ্ছে না, কি বেদনাদায়ক বিদায়! ভাবতেই জলে চোখ ভিজে যায় এমন অসহায় বিদায়ে বুক ফেটে যায়! রাষ্ট্রের প্রতি আহবান -ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য একটা সহায়তা প্যাকেজ ঘোষনা দেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসিদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হতে দাফন কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং মৃত ব্যক্তির পরিবার ৩ লাখ সহায়তা পূর্বে পেতো সেটা বর্তমানে করোনায় মৃত্যেুবরনকারীদের ব্যাপারে রাষ্ট্রের কি সিদ্ধান্ত সেটিও প্রবাসী হিসেবে আমাদের জানার অধিকার রয়েছে বলে মনে করি। আশা করবো সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীদের পাশে দাঁড়াবে এবং সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবেন।