
বিশু তনচংগ্যা
কাপ্তাইয়ে রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী বন্য হাতির জ্বালাতনে ভোগছে। বন্যহাতির পাল দিনে বেলায় গ্রামের দুরত্বে গিয়ে অবস্থান করলেও রাতের বেলায় এলাকার প্রবেশ করে চাষীদের বিভিন্ন ক্ষেত খামার ফসল ইত্যাদি নষ্ট করে দিয়ে থাকে। এমন অবস্থায় গতকাল রাত অনুমানিক ১০ ঘটিকার সময়ে হাতির পাল ধান ক্ষেত নষ্ট করে দিতে গেলে ডংনালা গ্রামের কয়েকজন লোক হাতির পালকে অস্ত্র ও রাবারে কান্টা দিয়ে তাড়াও করতে যায়। এসময় মোঃ কাউসার পিতাঃ মোঃ হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধে গুরুতর আহত হন।
এমন ঘটনা জানতে পেরে আজ সকালে চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ ও বিজিবি ও সেনাবাহিনী টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে গুরুতর আহত ব্যক্তির পরিবার ও স্বজনরা বলছে, গতকাল রাতে ওই এলাকা কোন বন্যহাতির পাল প্রবেশ করেনি, তারা সন্দেহ ও দাবি করছে পূর্বের কোন শত্রুতা জের ধরে রাত অনুমানিক ৯.৩০ সময়ে মোঃ আজিজ, মোঃ কাউসার ও কয়েকজন বন্ধু মিলে এলাকায় হাতি প্রবেশ করেছে বলে হাতির পালকে তাড়াও করতে একসাথে বের হয়। এসময় অস্ত্র দিয়ে মোঃ কাউসারকে গুলি করা হয় বলে দাবি স্বজনদের।
এদিকে চন্দ্রঘোনার থানার ওসি মাহামুুদুল হক এই প্রতিবেদকে মোবাইলে জানান, হাতির পালকে তাড়াও করতে একব্যক্তি গুলিতে আহত খবর জানতে পেরে আমি সকালে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠায়। তিনি আরো জানান, মোহাম্মাদ কাউসারের বুকে যে গুলিবিদ্ধ আঘাত সেটা দেখে বুঝা যায় ভারি ও লাইন্সেন বিহীন অস্ত্র দ্বারা গুলি করা হয়েছে। যারা হাতির পাল তাড়াও করতে বের হয় তারা সবাই গ্রামের একে অপরের ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ঘটনাটি খুবই সন্দেহ ও রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এই বিষয়ে মোঃ কাউসারের পরিবার এখনো পর্যন্ত থানায় কোন মামলার আবেদন করেননি। যদি পরবর্তী পরিবারের পক্ষ থেকে এমন রসহ্যজনক অভিযোগের কোন মামলার আবেদন করে তাহলে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে আইনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ।
এদিকে গতকাল রাতে এমন ঘটনার পরপরে গুলিবিদ্ধে আহত মোহাম্মদ কাইসারকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।