
নিজস্ব সংবাদ দাতা :
আজ ০৬ মে তারিখ ভোর সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ রঙ্গীখালী গাজীপাড়ার পশ্চিম দিকে পাহাড়ের পাদদেশে অপহৃত বাঙ্গালী ভিকটিম সাহেদ ও ইদ্রিসদ্বয়সহ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিম এবং তার অন্যান্য সহযোগী ডাকাতদের নিয়ে অবস্থান করছে মর্মে টেকনাফ থানা পুলিশ গোপনসূত্রে সংবাদ পান। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব প্রদীপ কুমার দাশ, বিপিএম, পিপিএম(বার) এর নেতুত্বে ভোর সাড়ে ৬ টায় ঘটনাস্থলে পেঁৈছালে
ডাকাতদলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত সদস্যরা গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। করতে করতে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেন।
টেকনাফ থানা পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায় গুলিবিনিময়ে টেকনাফ থানা পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) লিয়াকত আলী, এসআই(নিরস্ত্র)মশিউর রহমান, এএসআই(নিরস্ত্র)সনজীব দত্ত, এএসআই(নিরস্ত্র)মিঠুন কুমার ভৌমিক আহত হন।
এসময় পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৩ ডাকাত সদস্যকে ঘটনাস্থল হতে উদ্ধারপূর্বক দ্রুত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা তারা মৃত্যুবরণ করে।
নিহতরা হলেন টেনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে সৈয়দ আলম(৩৮), তার ভাই নুরুল আলম(৩৭), একই ইউনিয়নের জুম্মাপাড়ার সাব্বির আহম্মদের পুত্র মোঃ মনাইয়া(২২)।
টেকনাফ পুলিশের বরাত দিয়ে আরো জানা যায়, ঘটনাস্থ থেকে ৫টি একনলা বন্দুক, ২টি থ্রি কোয়াটার বন্দুক, ১০ টি এলজি, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২০৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৭২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা, ৫৬,০০০ হাজার ইয়াবা, ৩সেট বিজিবি ও ১০সেট পুলিশের পোশাক উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ডাকাত আঃ হাকিম আপহৃত ভিকটিমদের নিয়ে পাহাড়ে আত্মগোপণে থাকায় তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আঃ হাকিম ডাকাতকে গ্রেফতারসহ অপহৃত ভিকটিমদের উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।