দেশে করোনার প্রভাব বাড়তে থাকায় মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তা বাতিল করে স্বাস্হ্যবিধি মেনে ইতি মধ্যে মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে এমন ঘোষনায় ধর্মপ্রান মুসলমানরা খুশি হয়েছে।মুসলমানদের দাবি হয়ত পুরন হয়েছে। স্বাস্হ্য বিধি মেনে মসজিদে যাওয়ার পর ও অনেকে
আক্রান্ত হতে পারে তার যথেষ্ট সম্ভবনা ও রয়েছে এই
অবস্হায় যদি রাষ্ট্র কর্তৃক সন্তোষজনক ব্যবস্হা না করা হয় তাহলে মৃত্যুর শংকা বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
যদি ও মসজিদ হচ্ছে মুসলমানদের দলবদ্ধভাবে নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত স্থাপনা।যার আভিধানিক অর্থ শ্রদ্ধাভরে মাথা অবনত করা অর্থৎ সিজদাহ করা। সাধারণভাবে, যেসব ইমারত বা স্থাপনায় মুসলমানেরা একত্র হয়ে প্রাত্যহিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন,তাই মসজিদ। আবার যেসব বড় আকারের মসজিদগুলো নিয়মিত নামাজের সাথে সাথে শুক্রবারের জুম'আর নামাজ আদায় হয় এবং অন্যান্য ইসলামিক কার্যাবলী যেমন: কোরআন শিক্ষা দেওয়া সেগুলো জামে মসজিদ নামে অভিহিত।মসজিদে সাধারণত একজন ইমাম বা নেতা থাকেন যিনি নামাজের ইমামতি করেন বা নেতৃত্ব দেন।মসজিদ মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলীর প্রাণকেন্দ্র। এখানে প্রার্থণা করা ছাড়াও শিক্ষা প্রদান,তথ্য বিতরণ এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়।অন্যদিকে এই পবিত্র মসজিদে নামাজ বা সালাত আদায় করা হয়।নামায বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক বা ফরজ।নামায ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। ঈমান বা বিশ্বাসের পরই নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
নামায বা"সালাত" -এর আভিধানিক অর্থ দোয়া, রহমত,ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থ: ‘শরী‘আত নির্দেশিত ক্রিয়া-পদ্ধতির মাধ্যমে আল্লাহর নিকট বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে ‘সালাত’ বলা হয়।
ধর্মপ্রান মুসলমান গন মনে করেন এই অবস্হায় নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে এই ভাইরাস থেকে মহান রবই মুক্তি দিতে পারেন।সেই ক্ষেএে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায়,সিয়াম পালন স্বাস্হ্যবিধি মানা যতটা সম্ভব অন্যদিকে ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন সাজ পোশাক ক্রয়ে বিপনী বিতানে যাওয়া,অনেক দিন ঘরে বন্ধীদশা থেকে নিজকে মুক্তি নেওয়ার যে আনন্দ তা নিজকে,পরিবারকে,দেশকে নির্ঘাত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া যা কখনও কাম্য নয়।
এই মুহুর্তে রাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত সাধারন জনগনের কাম্য ছিল না তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না।যে দেশের বেশির ভাগ মানুষ মুসলিম সেই দেশের মুসলিম ধর্মীয় অনুভুতিকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।কারন এটি একটি বৈশ্বিক মহামারি।তাই ধর্ম বর্ণ
নির্বিশেষে সকল ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে ধর্মীয় মুল্যবোধ কে কাজে লাগিয়ে মানুষকে সচেতন করে মানবতা ও মানুষকে সবার আগে বাঁচাতে হবে।সকলের সার্বিক সহযোগিতায় করোনা নির্মুল হোক।মানুষ যেন ফিরে পায় নতুন এক পৃথিবী।
লেখক- মোঃ কামরুল ইসলাম।
কবি ও মানবাধিকার কর্মী।