লায়ন নবাব হোসেন মুন্না
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আপা সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশর ক্রান্তিলগ্নে মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আপনার অক্লান্ত পরিশ্রম মেধা ধৈষ্য প্রতি মুহূর্তে আপনার নির্দেশনা গুলো ইতি মধ্যেই সারা দেশ এর জনগণে কাছে প্রসংশনীয় হয়েছে, প্রতি মুহূর্তে নিজে ঘুমকে হারাম করে,আপনি যেভাবেই সারা দেশের প্রতিটা অঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ে খবর নিচ্ছেন ভাবতেই অবাক লাগে।
প্রচন্ড একটা ঝাঁকুনির ২০২০ সালের শুরুতেই হঠাৎ করে বর্হি বিশ্বের আজব জটিল এক মহামারী করোনা ভাইরাস রোগের আক্রান্ত শুরু হল ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে গ্রাস করলো বাংলাদেশকে আক্রান্ত করল, যাহা মহাবিশ্ব ক্ষমতাধর দেশে গুলো পযন্ত সামাল দিতে নাস্তানাবুদ হয়ে গেল। লক ডাউন নামের এই শব্দ টি মহাবিশ্বকে পরিপূর্ণ পাল্টে দিল, সব কিছু বন্ধ ঘোষণা করা হলো।মহাবিশ্বের নেতারা তাদের নিজ নিজ দেশে লক ডাউন ঘোষণা করলেন, তারা তাদের সরকারের সিদ্ধান্ত প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘরে মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেন।
আমাদের জন্য বছর টি ছিলো মুজিব বর্ষে উপলক্ষে নানান ধরনের কর্মসূচী,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা নিজের বাবার শতবর্ষ নানান মুখী কর্মসূচী বাতিল করে দিলেন। এমতাবস্থায় মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করার বিভিন্ন কর্মসূচী নির্ধারিত করলেন। দেশের লক ডাউন ঘোষণা করলেন কিন্তু জাতি হিসাবে বরাবর আমরা অকৃতজ্ঞ, অল্প সংখ্যাক মানুষ ছাড়া এই লক ডাউনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দিলাম। কিন্তু দেশের মানুষ গুলো তাহা মেনে চলা খুবই প্রয়োজন ছিলো। তা না করে উল্টো লক ডাউন ভাঙ্গার প্রস্তুতি নিলেন। নীরবে আমাদের পুলিশ বাহিনীর ধৈষ্য দেখেই নিজের আশ্চর্য
হয়ে যাচ্ছি, যা বলে শেষ করা যাবে না।
দলের অভ্যন্তরে অতি নগন্য দলের বাহিরেও কিছু নেতা নামধারী একদল ব্যবসায়ী লাগামহীন কথাবার্তা অমানবিক আচার আচরণ,দূর্নীতি,বেপরোয়া অনৈতিক কর্মকান্ড দল ও সরকারের দেশের মানুষ বিপদের মধ্যে ফেলের দিবার চেস্টা হরহামেশাই করে যাচ্ছে, যাহা আমাদের অত্যন্ত বিপজ্জনক ও বিব্রতকর। এমনি পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস শপিংমল এমন কি মসজিদ খুলে দেওয়া নামে নানানরকমে সোশ্যাল মিডিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ সাইডে এক প্রকার পোস্ট দেওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মসজিদ কখনো বন্ধ করা হয়নি। আসলেই আমরা ধার্মিক নয় ধর্মান্ধতা হতে বিশ্বাস করি। এইটা বুঝা গেল।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছিলেন, দল মত নির্বিশেষে যে কোন মানুষ অনাহারে না তাকে সেই সমস্ত মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিলেন আরো বলেছেন ভোটের জন্য যেমন মানুষের দরজা দরজা গিয়েছেন সেই ভাবে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা ইতিমধ্যেই তিন কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে জন্য দিলেন। টি,সি,বি মাল ডিলারে মাধ্যমে সহজ পাওয়া যায়। রেশন কার্ড, দুর্যোগ কালীন ভাতা,প্রনোদনা সহ বিভিন্ন ব্যাংকে কিস্তি, ইলেকট্রনিক বিল, গ্যাস বিল, চিকিৎসা ক্ষেত্রেই নানান মুখী পদক্ষেপ সহায়তা সুবিধা বিভিন্ন রকমে সুযোগ সুবিধা ব্যবস্থা করে দিলেন। কিন্তু কথা আছে না কয়লা ধুলে ময়লা যায়, কিছু অসাধু ডাক্তার সহ এক শ্রেণীর কিছু নেতা নামক অপদার্থ ত্রাণ সামগ্রী লুটপাট সহ চুরি করা শুরু করে দিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা বাধ্য হয়ে বলতে হল আমার বাবা কম্বল চোরদের ক্ষমা করে দিয়েছেন আমি চাল চোরদের ক্ষমা করবো না।
এখানে বলে রাখা ভালো যে যতো বড় নেতা হোক। তার অতীত রাজনৈতিক জীবন যতোই বর্ণাঢ্য হোক। সে যদি তার ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করে দানবের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তাহলে সেই দানবের লাগাম টেনে ধরা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যাহা নেত্রীর সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রের এজেন্সি গুলো খবর নিয়েছেন এবং নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেক জন প্রতিনিধি সহ বড় সরকারি কর্মকর্তা কে বহিষ্কার করা হয়েছে আরো কিছু বহিষ্কার হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে যাহা যথা সময়ে কঠোরভাবে দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ চললেন। কেউ যদি মনে করে থাকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এখনো আরো উল্লেখ্য যে পতিত দানবদের জন্য অনুশোচনা না করে দলের অভ্যন্তরে যেসব অনুপ্রবেশ কারী, হাইব্রিডদের জামাত বিএনপির আগমন ঘটেছে। যারা প্রতিনিয়ত অপকর্ম করে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবেই। প্রিয় নেত্রীর উপর ভরসা রাখুন। আমাদের প্রিয় দলটাকে এই সব দানবদের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করুন।
দেশের বিরুদ্ধে কিছু কুলাংঙ্গার করোনা_ভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সহ রাস্ট্রের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম ও ব্যস্ততার মধ্যে অতিবাহিত করছেন, তখনই অতীত ন্যায় জেএমবি, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ,সন্ত্রাসবাদ সংগঠন গুলো গোপনে তৎপরতা চালাচ্ছে ধর্মীয় দোহাই দিয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য হিংসাত্মক কর্মকান্ড চালানো চেষ্টা করে যাচ্ছে। যা দেশে ও জাতিয় জীবনে জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক, ইতিমধ্যেই মহামারী করোনা ভাইরাস চলাকালীন নতুন করে বাংলাদেশ এ বি পাটি নামে একটি মৌলবাদী রাজনৈতিক দল আত্ম প্রকাশ করেছে যা আমাদের জন্য সুখকর নয়। কেননা আমরা তাদের ইতিহাস সম্পর্কে আগে থেকে অবগত আছি।তাই সরকারের পাশাপাশি আমাদেরকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবেই বলেই আমি মনে করি।
রাজনীতির মাঠে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার,বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৌভাগ্যবান কর্মী একই আদর্শের ছায়াতলে আমরা একটি বৃহত্তর পরিবারের সদস্য। অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য সেই পরিবারের কোনো সদস্যের কারণে পুরো দল বদনাম হতে পারে না, যখন কোন নেতা নেত্রী অপকর্মে জন্য দায়ী হয় তার ব্যবস্থা দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাকে শাস্তি ভোগ