
আজম খাঁনঃ
করোনায় চট্টগ্রামের মানুষ যখন অসহায় ,১০ টি আই সি ইউ নিয়ে প্রায় এক কোটি মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা তখনি চট্টগ্রামবাসীদের আশার আলো দেখালেন এস আলম গ্রুপ।
চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ভেন্টিলিটরযুক্ত আইসিইউ শয্যা দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এস আলম গ্রুপ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেগুলো হস্তান্তর করা হবে। ঢাকার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি আইসিইউ শয্যা চট্টগ্রামে দেওয়া হবে বলে ওই সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিভিন্ন গনমাধ্যম ও পারিবারিক সুত্রে বিষয়টি জানা যায় ।তবে প্রকৃত সংখ্যাটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন এস আলম পরিবারের সাত সদস্য। এর মধ্যে রয়েছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা ৮৫ বছর বয়সী চেমন আরা বেগম, ২৬ বছর বয়সী ছেলে আহসানুল আলম মারুফ, পাঁচ ভাই এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৬০ বছর বয়সী রাশেদুল আলম, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ বছর বয়সী আবদুস সামাদ লাবু, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম এবং এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৪৫ বছর বয়সী ওসমান গণি। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হন ওই পরিবারের ৩৬ বছর বয়সী এক নারীও— তিনি ওসমান গণির স্ত্রী। অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মারা যান এস, আলম পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই মোরশেদুল আলম।
বড় ভাই মারা যাওয়ার পর সাইফুল আলম মাসুদের পরামর্শে গত ২২ ও ২৩ মে এস আলম পরিবারের সব সদস্যকেই চট্টগ্রাম নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আইসিইউযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়। তখন থেকে এই পরিবারের করোনায় আক্রান্ত সাত সদস্যই চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকার ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তাদের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাও উন্নতির দিকে।
উল্লেক্ষ্য দেশের শীর্ষস্থানীয় এস আলম গ্রুপের তত্তাবধানে হাজার হাজার বেকার মানুষের কর্মসংস্থান সহ অনেক পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
প্রায় আড়াইশ’ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের চট্টগ্রামে পটিয়া উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১২৪টি গ্রাম রয়েছে।যেখানের শতকরা ৮০-৯০ ভাগ মানুষ সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে এস আলম গ্রুপের মাধ্যমে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে।