বাংলাদেশ ব্যাংকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজেসে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদস্থ হিলভিউ আবাসিক এলাকা মিসেস দিলরুবা বেগমকে হয়রানীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশেষ প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার হিলভিউ আবাসিকের ১২২১/বি হিলভিউ রোডে বসবাস মিসেস দিলরুবা বেগমের। গৃহকর্তা কাজী জাকির হোসেন এলাকার বিশিষ্টজন ও পরিচিত মুখ। যিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আবাসিকের রূপকারও। এবার স্বংয় কাজী জাকির হোসেন ও তাঁর পরিবার হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন কতিপয় অসাধু বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মতার লালসার কারনে। অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবদ মৌজার আর এস খতিয়ান ২৬৭১ দাগ সহ অন্যান্য দাগের সম্পত্তি হাইকোর্টের নির্দেশে মহালক্ষী ব্যাংক হতে কাজী জাকির হোসেন ও তাঁর অন্য তিনজন পার্টনার সহ টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে ১৯৮২ সালের দিকে কিনে নেন। এরপর ২০ ডিসেম্বর ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক মহালক্ষী ব্যাংকের অফিসিয়াল লিকুইডেটর হিসেবে উক্ত দাগের ৬ গন্ডা জমি রেজিস্ট্রি দলিলমূলে মিসেস দিলরুবা বেগমকে বুঝিয়ে দেন। এরপর ১৯৮৫ সালে উক্ত ৬ গন্ডা জমি বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যৌথ জরিপ করে/মেপে জায়গার দখলস্বত্ত পুনরায় মিসেস দিলরুবা বেগমকে বুঝিয়ে দেন, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পত্রের মাধ্যমে উক্ত জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মানের আদেশ দেন। মিসেস দিলরুবা বেগমের স্বামী কাজী জাকির হোসেন আদেশ প্রাপ্তির পর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন কর্মকর্তাদের উপস্থিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান করেন। এরি সাথে কাজী জাকির হোসেন উক্ত সম্পতিতে একটি দ্বিতল বাংলো ভবন নির্মান করে বসবাস ও ভোগ দখল করে আসছেন। উল্লেখ্য যে, একি সময়ে মিসেস দিলরুবা বেগমের সম্পত্তির পাশের জায়গাগুলোও উনার কাছে বিক্রয় করার প্রুতিস্রুতি প্রদান করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের হেড অফিচ। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মিসেস দিলরুবা বেগম কোনরূপ বাধা বিপত্তি ছাড়া উক্ত জায়গায় বসবাস করতে থাকেন। ঘঠনার সূত্রপাত শুরু ১৯৯৫ সাল থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বকার প্রায় কর্মকর্তা বদলী হওয়ার সুযোগে কতিপয় নতুন কর্মকর্তা/কর্মচারীর মিসেস দিলরুবা বেগমের উক্ত জায়গার পাশের জায়গা ওনাকে না দেয়ার জন্যে তারা লোভের বশিভুত হয়ে মিসেস দিলরুবা বেগমের জায়গার সামনের অংশে ১৮ ফিট, পিছনের ১০ ফিট এবং দৈর্ঘ্যে ৮৫ ফিট জায়গা বাংলাদেশ ব্যাংকের বলে দাবী করেন বসেন। অথচ ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উক্ত ৬ গন্ডা জায়গা রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে বুঝিয়ে দেন এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মেপে সীমানা নির্ধারনও করে দেন। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার অযোক্তিক দাবীতে মিসেস দিলরুবা বেগম ও কাজী জাকির হোসেন দম্পতি হতভম্ব হয়ে পরেন। দীর্ঘ ১৩ বছরের মাথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন দাবী কাজী জাকির হোসেন ও তার পরিবারের জন্যে ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত ও অবাঞ্ছিত। আমাদের টিম কাজী জাকির হোসেনের উক্ত বাংল ভবনে উপস্থিত হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পত্তি বিক্রি করে আবার তা আংশিক দাবী করে একজন সাধারণ নাগরিককে হয়রানি করা কতটা যৌক্তিক?”। কাজী জাকির হোসেন আরো দাবী করেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সেসময় শুধু হয়রানী করে ক্লান্ত হয়নি। খতিপয় কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ মিসেস দিলরুবা বেগমের বিরুদ্ধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের জায়গা দখল করে আছেন মর্মে ১৯৯৫ সালে নিন্ম আদালতে মিত্যা মামলা দায়ের করেন। যার রায় নিন্ম আদালত চলতি বছরের ১০মার্চ মিসেস দিলরুবা বেগমের পক্ষেই প্রদান করেন।

১৯৯৫ সাল থেকে চলতি বছরের ১০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে শুনানী চলতে থাকে। শুনানী কালে আদালতের চাহিদা মোতাবেক মিসেস দিলরুবা বেগমের পক্ষে বিভিন্ন সময়ে সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য, আদালত মিসেস দিলরুবা বেগমের কাগজ পত্র পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে উক্ত সম্পত্তির কাগজ পত্রের কপি চাইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কাছে উক্ত জায়গার কাগজপত্র রক্ষিত নেই মর্মে আদালতকে অবহিত করেন। এখন প্রশ্ন থেকে যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মত গুরুত্বপূর্ণ ও সুরক্ষিত দপ্তরে তাঁদের নিজস্ব সম্পত্তির প্রয়োজনীয় কাগজ রক্ষিত না থাকলে জনগনের সম্পদ তাদের হাতে নিরাপদ থাকবে কতটুকু। যাইহোক, বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁদের দাবী অনুসারে কাগজপত্র প্রদর্শনে ব্যার্থ হলে চলতি বছরের ১০ মার্চ নিন্ম আদালত মিসেস দিলরুবা বেগমের পক্ষে রায় দেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক আনিত মিথ্যা মামলা খারিচ করে দেন।

এবার ফিরা যাক সীমানা প্রাচীর প্রসঙ্গে; ২০১৫ সালে প্রবল বর্ষনের ফলে মিসেস দিলরুবা বেগমের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের বেশকিছু অংশ ভেঙ্গে যায়, এবং বাকি অংশও যে কোন সময় ভেঙ্গে পরার উপক্রম। মিসেস দিলরুবা বেগম ও কাজী জাকির হোসেন দম্পতি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায়, ভাঙ্গা দেয়ালের কারনে অরক্ষিত এবং ঝুঁকিতে থাকার পরও, আদলতের রায় চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ভাঙ্গা অংশে কোনরূপ প্রাচীর নির্মান করেননি। অবশেষে চলতি বছরের ১০ মার্চ মিসেস দিলরুবা বেগম মামলায় বিজয়ী হয়ে উক্ত ধ্বসে পরা দেয়ালের অংশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা দেন। কিন্তু বিধিবাম, কিছুক্ষনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়োজিত আনসার বাহিনীর সদস্যরা এসে বাঁশের ঘেরাটি ভেঙ্গে তাদের নিয়ন্ত্রেনে নিয়ে যায়। আমাদের টিম চিত্রধারণের সময়ও উক্ত ঘেরাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের জায়গায় দেখা যায়। এবার ঘঠনার আরো গভীরে যেতে থাকে অনুসন্ধানী টিম। বাঁশের বেড়া উচ্ছেদের ব্যাপারে জানতে চাইলে কাজী জাকির হোসেন অনেকটা আপেক্ষ করে বলেন, “আনসার বাহিনীর এমন আচরন আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের দৃষ্টিঘোচর করলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ও আনসার আমার বাসায় এসে কথা বলে যান এবং বেড়া পুনঃনির্মাণ ও বিশষয়টা সমাধান করবেন বলে প্রতুস্রুতি দিয়ে ২দিন সময় নিয়ে যায়”। জনাব জাকির হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, “কিন্তু এই ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের আরো একটা কথা-কাজের গড়মিল করে বসলেন। তাঁরা ২ দিনের সময় নিয়ে যাবার বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও, বাংলাদেশ ব্যাংক কোন সমধান না দিয়ে উল্টো মিসেস দিলরুবা বেগমের কাগপপত্র ভুয়া বলে তাঁর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ করে থানায়”। দিলরুবা বেগমের স্বামী কাজী জাকির হোসেন উপস্থিত সংবাদ প্রতিনিধিদের কাছে প্রস্ন ছুঁড়েন; “আপনাদের কছে আমার জিজ্ঞাসা- মিসেস দিলরুবা বেগমের কাগজ পত্র যদি ভুয়াই হয়, তবে কেন আদলত ব্যাংকের পক্ষে রায় না দিয়ে মিসেস দিলরুবা বেগমের পক্ষে রায় দেন। তিনি আরো জানতে চান, ব্যাংকের ঐ কর্মকর্তারা কেনই বা কাজি জাকির হোসের কাছ সমাধান করার জন্যে ২ দিনের সময় নেওয়ার নাটক করলেন? কেনই বা রায়ের এতদিন অতিবাহিক হওয়ার পরও বাংলাদেশ ব্যাংক নিন্ম আদালতের রায় কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে মিসেস দিলরুবা বেগমকে হয়রানী করছেন? কেনই বা আমাদের ন্যায্য সম্পত্তিতে সীমানা প্রচীর নির্মান করতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের খতিপয় কর্মকর্তা/কর্মচারী আনসারবাহিনী দিয়ে হস্তক্ষেপ করাচ্ছে, ভাংচুর করাচ্ছে, এমন প্রশ্ন রাখলাম আপনাদের মাধ্যমে জাতির বিবেকের কাছে”। এদিকে করোনা কালীন মহা বিপদের কথা চিন্তা, নিজেদের নিরাপত্তা ও চোর ডাকতের হাত হতে বাচাঁর তাগাদায় অবশিষ্ট ভগ্ন প্রায় বাঁশের ঠেশ দেয়া হেলানো ঝুঁকিপূর্ণ প্রাচীর নির্মানে প্রসানিক সহায়তা ছেয়ে জনাব কাজী জাকের হোসেন নগরীর পাঁচলাইশ থানার হস্তক্ষেপ কামনা করলে, পাঁচলইশ থানার এসআই ইমাম তাঁকে সীমা প্রাচীর নির্মান করতে আপাতত নিষেধ করে যান এবং বলে যান আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে থানায় যোগাযোগ করতে। ষে অনুযায়ী তার পরদিনই জনাব কাজী জাকের হোসেন আদলতের রায়ের কপি ও আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র ওনার ম্যানেজারের মাধ্যমে স্থানীয় পাঁচলাইশ থানায় পাঠান। থানা কাগজপত্র দেখেন কিন্তু কোন সীদ্দান্ত দিতে দিনেক্ষেপন করতে থাকে। এইদিকে কাজী জাকের হোসেনের পক্ষ থেকে সীদ্দান্ত পেতে থানায় বাড় বাড় ধর্না দিলে থানা সাফ জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পৃক্ত কোন অভিযোগে তাঁরা হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা। এখানেও জনাব কাজী জাকের হোসেনের প্রশ্ন, “আদালতের রায় বড়, নাকি বাংলাদেশ ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তার অভিযোগ বড়! আপনারা সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রস্ন রাখলাম”।
ঘঠনা এখানে শেষ নয় এবং মিসেস দিলরুবা বেগম ও স্বামী কাজি জাকির হোসেনও ছাড় দেওয়ারপাত্র নন। এবার ওনারা কাগজপত্র নিয়ে ডিসির(উত্তর) স্মরণাপন্ন হন। ডিসি (উত্তর) রায়ের সমস্ত কাগপত্র পর্যালোচনা করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সহায়তা করার জন্য এসি’কে নির্দেশ প্রদান করেন। এসি সাহেব পাঁচলাইশ থানার ওসি তদন্তকে সীমানা প্রাচীর নির্মানে সহায়তা করতে দায়িত্ব দেন। ওসি তদন্তও মিসেস দিলরুবা বেগমের কাগপত্র দেখেন ও বাংলাদেশ ব্যাংককের কর্মকর্তাদের তাদের পক্ষে কাগজপত্র উপস্থানের জন্যে আহবান করে উভয় পক্ষকে পরেদিন থানায় দেখা করতে বলেন। এবারও যথারিতি বাংলাদেশ ব্যংক কাগজপত্র দেখাতে ব্যার্থ। মিসেস দিলরুবা বেগমের পক্ষে পরদিন যথারীতি থানায় দেখা করতে গেলে পুলিশ এবারও নিরব ভুমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করেন কাজী জাকির হোসেন। তিনি আমাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সকলের কাছে এইও প্রশ্ন রাখেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মুখের কথা বেশী গ্রহন যোগ্য না বৈধ কাগজপত্র গ্রহন যোগ্য”। মিসেস দিলরুবা বেগম ও কাজী জাকির হোসেন দম্পত্তিকে হয়রানির প্রেক্ষাপট কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এই দম্পত্তি নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য এবার ছুটে যান বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়োজিত আনসার বাহিনীর পরিচালক সাইফ হোসেনের কাছে। তিনিও দিলরুবা বেগম ও কাজী জাকির হোসেন দম্পত্তির কাগজপত্র দেখে আনসার বাহিনীর সদ্য কৃত উচ্ছেদ কর্মকান্ডের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন এবং সেই সাথে আনসার বাহিনীকে পুনরায় কাজে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু পরদিন কাজী জাকের হোসেন পুনরায় ঘেরা বেড়া দিতে গেলে দেখা যায় ঠিক আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। অর্থাৎ এবারও বাধা দেয় আনসার। তাঁদের দাবী থানার এস আই ইমাম প্রাচীর নির্মান কাজে বাধা দিতে বলেছেন। আবারও দিলরুবা বেগম ও কাজি জাকির হোসেন দম্পত্তির পক্ষে থানায় যোগাযোগ করিলে থানা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত বিধায় তারা দিলরুবা বেগম ও কাজী জাকির হোসেন দম্পত্তিকে সাহায়তা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে। এখানে দিলরুবা বেগমের স্বামী কাজী জাকির হোসেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আবারো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা/কর্মচারী বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে পুলিশকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং করে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেন।

পরিশেষে, দিলরুবা বেগম ও কাজী জাকির হোসেন দম্পত্তি ন্যায্য সমাধান পাওয়ার আশায় ধারস্থ হন চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের কাছে। তাঁরা পুলিশ কমিশনার বরাবর একখানা লিখিত আর্জি প্রদান করেন। এবার অন্তত পুলিশ কমিশনার কি ধরনের ভূমিকা পালন করেন তা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। কাজী জাকির হোসেন প্রতিবেদনের একপর্যায়ে কান্না জড়িত কন্ঠে আমাদের অনুসন্ধানী টিমকে জানান; আমাদের পার্শ্ববর্তী জমি সম্পূর্ন জনশুন্য ও নির্জন হওয়ায় যেকোন সময়ে চুরি ডাকাতির সম্মুখীন হতে পারি, চোর চোখে দেখলেও করোনা সংক্রমণের ভয়ে ধরতেও পারবনা। তাছাড়াও সীমানা প্রাচীরের অবশিষ্ট ভাঙ্গাঅংশ যেকোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়ে প্রাণঘাতীর মতো ঘটনাও কিংবা সম্ভাব্য বড় ধরনের ক্ষতির তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। অতএব, দিলরুবা বেগম ও কাজী জাকির হোসেন দম্পত্তি অচিরেই তাঁদের সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর নির্মানের জন্য সর্বমহলের সহায়তা কামনা করেন।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত