নির্বিকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রাজস্থলী সদর হাসপাতালের কোটি টাকার পুরান জমি বেদখল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোঃ আজগর আলী খানরা রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার পুরান হাসপাতালের কোটি টাকার জমি দখল করে স্থানীয় অসাধু লোকের বসবাস বাড়ছে দিন দিন। এ ভাবে দিন দিন জমি দখল করে বতস ঘর নির্মান করায় সরকারি জমি এক সময় হারিয়ে যাওয়ার অাশংকা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে নির্বিকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুত্রে প্রকাশ রাজস্থলী উপজেলার পশ্চিমে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প, পূর্বে রাজস্থলী থানা এর মাঝামাঝি রাজস্থলী হাসপাতালের নামিয় পূরান জমি প্রায় এক একর ৯০ শতাংশ জমি হাসপাতালের নামে বন্দোবস্তি অাছে। দীর্ঘ ২০/২২ বছর পূর্বে হাসপাতাল অন্য জায়গাই স্থানান্তর হওয়ার পর থেকে জমি গুলো অবৈধ ভাবে ঘর বাড়ী এবং বাগান সৃজন করে দখল করে অাছে বলে জানাগেছে। সীমানা জটিলতা থাকায় প্রশাসন হাসপাতালের নামিয় জমি পরিমাপের মাধ্যমে নির্ধারন করে পিলার স্থাপন করা হলে ও তা অমান্য করে অবৈধ দখলকারীরা ঘরবাড়ী নির্মান করে। গত কয়েক দিন অাগে বাস্তবে দেখা যায় অবৈধ দখলকারীদের মধ্যে জমি দখল কে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়ে অাদালত পর্যন্ত গড়াই তাদের মামলা, দখলকারীরা প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিক্ল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুইহলাং মারমা জানান, পূরান হাসপাতালের নামে প্রায় এক একর নব্বই শতাংশ জমি বন্দোবস্তি অাছে। সে জায়গাই কিছু স্বার্থান্বেষী মহল চত্রছয়াই অবৈধ ভাবে সেমিপাকা ঘর নির্মান ও বাগান সৃজন করে বসবাস করে অাসছে। তাদের কে বার বার জমি হতে উঠে যাওয়ার জন্য অনেক বার তাগিদ দেওয়ার পর তারা কোন কর্ণপাত করছেনা। বরং তারা অারো শক্ত ভাবে ঘর নির্মান করে দখল করে অাছে। অামি প্রশাসনের নিকট জানানোর পর প্রশাসন সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে বিস্তারিত দেখে গেছেন। দখলের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান,বিষয়টি অামাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবহিত করেছেন,অামি ও উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা,এবং থানা অফিসার ইনচার্জ মফজল অাহামদ খান সহ সরেজমিনে তদন্ত করে জানতে পারি হাসপাতালের নামে এক একর নব্বই শতাংশ জমি নির্ধারন করা অাছে। প্রকৃতপক্ষে দেখাযায়,কিছু অসাধু কতিপয় ব্যক্তি জমিতে সেমিপাকা ঘর ও বাগান সৃজন করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে অাসছে। বর্তমান করোনার পরিস্থিতির কারনে সময় দেওয়া সম্ভব না হওয়াই বিস্তারিত জেলা সিভিল সার্জন ও ইউ এইচ এফ পি ওর সাথে অালাপ অালোচনার মাধ্যমে দখল কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,, অন্যতায় অাইনের মাধ্যমে তাদের উৎচ্চেদ করে সরকারি সম্পতি রক্ষা হবে। অপর দিকে ৩২৮ নং পৌয়তু মৌজার হেডম্যান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমা, জানান,অামি কোন জায়গা কারো কাছে বিক্রি করিনি। হাসপাতালের জায়গা হাসপাতালের নামে অর্ন্তরভুক্ত অাছে। সুতরাং অবৈধ দখলকারীরা দখল করে দীর্ঘ২০/২২ বছর যাবৎ ঘর উঠিয়ে জমি দখল করে অাছে। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ,বিপাশ খীসা এ প্রতিবেধক কে জানান, পূরান হাসপাতালের নামে এক একর নব্বইশতাংশ জায়গা অাছে বলে জানতে পারি। কিন্তু বহিরাগত কিছু লোক অবৈধ দখল করে অাছে।অামি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেক ও স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুইহলাং মারমার সাথে অালোচনা করে দখলকারীদের বিরুদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। ফলে হাসপাতালের জমি থেকে অবৈধদখলকারীকে উচ্চেৎ করা না হলে অধুর ভবিষৎ সরকারি সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। তারা ধরা কে সরাজ্ঞান করে অাসছে। দীর্ঘদিন ঘরবেঁধে থেকে প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাচ্ছে। দ্রুতপদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত