জামিল বিশ্বাসঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় প্রাইভেট শিক্ষক দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয় এক স্কুল ছাত্রী। প্রাইভেট শিক্ষকের নাম রুহুল আমিন রুবেল (৩২)। সে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। গত ৯ জুন কৌশলে জেলা শহরের উত্তর সেওতা এলাকায় এক নারীর ভাড়া বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে তিনদিন আটকে রেখে প্রাইভেট শিক্ষক রুহুল আমীন ও তার দুই বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত ১৬ জুন মঙ্গলবার প্রাইভেট শিক্ষকসহ চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা ছাত্রীর বাবা। মামলার নারী আসামীকে গ্রেফতারের পর বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার এজাহার ও ভূক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা ছাত্রী ও তার ছোট বোনকে প্রাইভেট পড়াতেন রুহুল আমিন রুবেল (৩২)। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন তিনি। সম্প্রতি মেয়েটি তার দাদার বাড়ি উপজেলার বাইমাইল গ্রামে বেড়াতে যান। গত ৯ জুন দাদার বাড়ি থেকে তাকে মোটরসাইকেল করে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে রুহুল আমীন জেলা শহরের উত্তর সেওতা এলাকায় তার কথিত খালার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তিনদিন আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে রুহুল আমিন ও তার দুই বন্ধু। এক পর্যায়ে মেয়েটি ফোন করে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানান। পরে পরিবারের লোকজন সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ জুন) মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে প্রাইভেট শিক্ষক রুহুল আমিন, দুই বন্ধু ও তার কথিত খালা জমিলা খাতুনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর বুধবার (১৭ জুন) ভোর চারটার দিকে আসামী জমিলা খাতুনকে (৩৮) জেলা শহরেরে উত্তর সেওতা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিঙ্গাইর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম জানান, ধর্ষিতা ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার চার নম্বর আসামী জমিলা খাতুনকে গ্রেফতার করে বুধবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সে ধর্ষন কাজে সহায়তার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। ঘটনার মুলহোতা প্রাইভেট শিক্ষক রুহুল আমিনসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।