টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফরিদ বাবুল, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সোমবার ( ৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, টেকনাফ নয়াপাড়া ক্যাম্পের আই ব্লকের এক নম্বর রুমের গৃহকর্তা (এমআরসি-৫৩৪৩ ও শেড-৫৫৮) মৃত হোসেন আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫০), তার স্ত্রী তৈয়বা বেগম (৪০) ও ছেলে হোসেন জোহার (১৬)। আজিজুল হক আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে প্রচার রয়েছে।

নয়াপাড়া ক্যাম্প পুলিশের দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. গোলাম আজম জানান, নয়াপাড়া ক্যাম্পে ডাকাতের গোলাগুলির খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে রোহিঙ্গা একই পরিবারের ৩ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরো জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত নুরুল আলম ও মোহাম্মদ সাদেকের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই ব্লকের বাসিন্দা আজিজুল হকের ঘরে হানা দেয়। এসময় বাড়িতে থাকা লোকজন শোর চিৎকার দিলে অস্ত্রধারীরা তাদের উপর গুলি বর্ষণ করে। এতে একই পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসছে দেখে হামলাকারিরা ফাঁকাগুলি করে ভীতি সঞ্চার করে পাহাড়ের দিকে ঢুকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ক্যাম্পের ভেতরে স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। তাদের একেক জনের শরীরে দুই-তিনটি গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতংঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, গুলিবিদ্ধ আজিজুল হক আইনশৃঙ্কলাবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিল। আর বেশ কিছুদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা জিয়া নামে এক অপরাধীকে আইনশৃংখলাবাহিনীর কাছে ধরে দিয়েছিলেন আজিজ। এ অভিযোগে সোমবারের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারনা করছেন রোহিঙ্গা নেতারা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি, হামলাকারিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে এসে উখিয়া-টেকনাফে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত