
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাংগামাটি) :
করোনা উপসর্গ নিয়ে রাংগামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়নের বামনি বটতলী পাড়ার বাসিন্দা অংসুইউ মারমা শুক্রবার (৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে তার বাড়ীতে মারা যান। তার বয়স ছিল ৫৫ বছর। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে জ্বর, এবং কাশিতে ভুগছিলেন। মৃতবরনকারী অংসুইউ মারমা চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে( চুয়েট) টেকনিশিয়ান (ওয়ার্কশপ) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। চিৎমরম ইউনিয়ন এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চিংথোয়াই মারমা জানান, তার ইউনিয়ন এর বামনি বটতলী এলাকার বাসিন্দা অংসুইউ মারমা শুক্রবার দিবাগত রাত ২. ৩০ মিনিটে মারা যান। মৃতবরনকারী ব্যক্তি জ্বর এবং কাশিতে ভুগছিলেন বলে তিনি জানান।
এদিকে চিৎমরম এ বসবাসরত রাংগামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মারমা জানান, তার বন্ধু অংসুইউ মারমা করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেন। সে সপ্তাহ খানেক ধরে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে ভুগছিলেন।
কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের করোনার ফোকাল পারসন ডা: ওমর ফারুক রনি জানান, শুক্রবার সকালে রাংগামাটি জেলা পরিষদের সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মারমার ফোন কলের মাধ্যমে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর খবর জানতে পারি। তিনি জানান, মৃতবরনকারী ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন নাই তাই তার সম্পর্কে বিস্তারিত বলা সম্ভব না। ডা: ওমর ফারুক রনি আরোও জানান, কেউ যদি করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতবরন করে, তাহলে ৩ ঘন্টার মধ্যে তার নমুনা নিতে হয়, সেই ক্ষেত্রে ৩ ঘন্টা পর যেহেতু আমরা খবর পেয়েছি তাই মৃতবরনকারী ব্যক্তির নমুনা নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মৃতবরনকারী ব্যক্তির যেহেতু নমুনা নেওয়া হয় নাই, তাই তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরন করেছে সেটা বলা যাচ্ছে না, তবে যথাযথ স্বাস্হ্য বিধি মেনে তার সৎকার করা হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার(৩ জুলাই) চট্রগ্রামের সিভাসু হতে আসা রিপোর্টে কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির করোনা পজেটিভ এসেছে বলে উপজেলা স্বাস্হ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছেন। তিনি গত ২৬ জুন উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেন।
অপরদিকে কাপ্তাইয়ে শুক্রবার আরোও ১ জনকে সুস্হ ঘোষনা করে রাংগামাটি সিভিল সার্জন অফিস। এই নিয়ে কাপ্তাইয়ে মোট সুস্হ হলো ২৮ জন এবং আক্রান্ত হলো ৭৫ জন।।