রাঙ্গুনিয়ার লালানগরে আগুনে পুড়ে ছাই ৩ পরিবারের ৬টি ঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়াঃ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫ নং লালানগর ইউনিয়নের কাজী বাড়ী গ্রামে ৩ পরিবারের ৬টি ঘরে আগুন লেগেছে। আগুনে ৬ পরিবারের পরনের কাপড় ছাড়া ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে করে ৬ পরিবারের প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভষ্সীভূত পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানান। আশপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও আগুনের ভয়াবহতায় তা সম্ভব হয়নি। পরে খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে ভয়াবহ আগুনে সহায় সম্বল হারিয়ে পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাজী বাড়ী গ্রামের মৃত রশিদ আহমদের বড় পুত্র মতিউর রহমানের রান্না ঘরের মাটির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে পাশে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগে। এসময় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন বেড়িয়ে ছোট ভাই আবদুল মান্নানের বসতঘরে আগুন লেগে তা মুহূর্তে পার্শ্ববর্তী হাসমত আলীর ছেলে মাস্টার খোরশেদ আলম ও সিরাজুল ইসলাম এবং ওয়াহেদ আলী ফকিরের ছেলে জরিপ আলী ও দানু মিয়ার বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন ছড়িয়ে পড়লে ঘরে থাকা সকলেই দ্রুত বেরিয়ে আসে। আশপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও আগুনের ভয়াবহতায় তা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া সদর থেকে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই পরনের কাপড় ছাড়া ৬ পরিবারের ঘরে থাকা নগদ টাকা, ধান, চাল আসবাবপত্র ও ব্যবহার্য সব মালামালসহ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

ঘটনাস্থলে এসে লালানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন বলেন, যে কোন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ধর্ম। তিনি বলেন, আগুনে প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংসদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অবগত করেছি। সেই সঙ্গে তাৎক্ষনিকভাবে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১ বস্তা করে মোট ৬ বস্তা চাল প্রদান করেছি।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থেকে সম্ভব সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন, পাশাপাশি স্থানীয় বিত্তবানদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

ছবিঃ সেকান্দর হোসেন সান্ত।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত