
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের দপ্তরে প্রবেশ করা যাবে না। হঠাৎ করেই সাদা কাগজে এমন নোটিশ লিখে সেঁটেদেওয়া হল চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর রেলওয়ের কয়েকটি দপ্তরের প্রবেশমুখে। নোটিশে লেখা—‘সকল ঠিকাদার/ভিজিটরদের কারখানায় সাময়িকভাবে প্রবেশ নিষেধ। জরুরি প্রয়োজনে টেলিফোন, মোবাইল ও ইমেল যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইল।’ এদিকে হঠাৎ আরোপ হওয়া এমন কড়াকড়িতে অবাক খোদ রেলওয়ে কর্মচারীরাও। তারা বলেছেন, ২৭ জুন রেলওয়ে পাহাড়তলী ডিপো থেকে ট্রেনের ইঞ্জিনের ছয়টি ব্রেক ব্লক, যাত্রীবাহী বগির ২১ শাটার রিপ ও দুটি স্প্রিংচুরির অভিযোগে মো. আলমগীর হোসেন (৫৫), মো. জসিম উদ্দিন (৩৬) ও মো. শরীফুল ইসলামসহ (৩৫)চারজনকে আটক করা হয়। এ চুরির ঘটনা ছিল সাজানো। সেটি ধামাচাপা দিতেই এমন কৌশল অবলম্বন করছেন রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা চুরির ঘটনায় ২৪ থেকে ২৭ জুন সময়ের মধ্যে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীকে স্লিপের মালামাল বুঝিয়ে দেওয়ারসময় প্রতিনিধি পাঠাতে চিঠি পাঠালেও আরএনবির কোন প্রতিনিধি যায়নি সেখানে। এমনকি চোরাই মালামাল সরকারি কিনা তা শনাক্ত করতে রেল কর্মকর্তাকে সাক্ষী হওয়ার জন্য কোন চিঠি দেয়নি রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার (১৫ ও ১৬ জুলাই) খুলশী থানাধীন পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপের প্রবেশমুখে রেলওয়েনিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত কড়াকড়ি ও কাগজে লেখা সেই পোস্টার নোটিশের দেখা মেলে।রেলওয়ে ওয়ার্কশপ, ডিসিওএস, পুরাতন সেল ডিপু— এ তিন অফিসে এমন কড়াকড়ির ব্যপারে রেলওয়েনিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বরত আরএনবি (সিআই) রেদোয়ানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কোনমন্তব্য করতে রাজি হননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, রেলওয়ের পাহাড়তলী সেল ডিপুতে গত ১০ মার্চ আগুন লাগার ঘটনা এবং ২৭শে জুন দিনেদুপুরে একই ডিপুর মালামাল চুরির ঘটনায় চারজনকে আটক করে আরএনবি। অগ্নিকাণ্ড ও চুরির ঘটনায়আরএনবির সম্পৃক্ততা আছে— এমন গুঞ্জন শুরু হলে তারা এমন কড়াকড়ির কৌশল নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে ওর্য়াকশপ ক্যারেজ শাখার তত্ত্বাবধায়ক রাশেদ লতিফ বলেন, ‘পোস্টার বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপের বিষয়ে কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি আরএনবিকে।’
বাবু নামের রেলওয়ের এক ঠিকাদার বলেন, ‘হঠাৎ করে আরএনবি কেন নিজেদের এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে শুরু করে সেটাও ভাববার বিষয়। চুরির ঘটনায় তারা কিছু লুকাতে চাইছে।’