
বাবলা চট্টগ্রামঃ
পর্যটন এলাকা যেন এখন শুধু ধু ধু মরভূমি বালিচর (মরিচিকা)। কেন এমন হল,এই উত্তর জানতে চট্টগ্রামের কয়েকটি বিনোদন স্পটের অন্যতম পর্যটন এলাকা পতেঙ্গা সমূদ্র সৈকত বা সী-বিচ এরিয়াতে গিয়ে ছিলাম(১১আগষ্ট)মঙ্গবার বিকেলে। পাশাপাশি খবর নিয়ে জানা গেছে অন্যান্য পর্যটন স্পট খোলা আছে কিনা। যেমন-পার্কি বীচ(সৈকত) ,বাটারফ্লাইপার্ক,কাপ্তাইলেক, ফয়েজলেক,ভাটিয়ারী গলফ এরিয়া,সীতাকুন্ড এবং হালিশহর সমূদ্র সৈকত(বিচ) এলাকা এবং কাট্টলী বেড়ীবাধঁ এরিয়া, ফিরিঙ্গিবাজার মেরিন ড্রাইভ রোড এরিয়ায়”করোনাভাইরাসের” কারণে প্রশাসনের কঠোর নজরধারীতে চট্টগ্রামের সকল পর্যটন এলাকায় দর্শনার্থী শূন্যাবস্থায় দেখা গেছে।
তবে মঙ্গবার বিকেলে পতেঙ্গা সমূদ্র সৈকত বা সী-বিচ এরিয়াতে গিয়ে সরজমিনে গিয়ে জানতে পারলাম, দূর দূরান্ত থেকে আগত বিনোদন নিতে আসা দর্শনার্থীরা অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানালেন কক্সবাজার সহ অন্যানন্য জেলায় বিনোদন স্পট ঈদুল আযহা উপলক্ষে খোলে দিলেও কেন পতেঙ্গা সী-বিচ খোলে দেন নি থাতে উচ্চ প্রশাসনের নিকট প্রশ্ন রাখলেন পটিয়া থেকে আগত দর্শনার্থী মোঃ রায়হান।
তিনি আরো বলেন, নগরীর দক্ষিণাঞ্চালের শেষ প্রান্ত থেকে অনেক টাকা ব্যয় করে এসে সী-বিচ এরিয়ায় যেতে না পারে পথেয় বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। অপর দর্শনার্থী পতেঙ্গারবাসিন্দা বয়জেষ্ঠ্য আবুল কাশেম বলেন, মহামারি করোনাতে বিনোদন না খোলাতে অনেক প্রশাসনকি ধন্যবাদ দেন এবং করোনা বিস্তার রোধ হয়েছে বলেও দাবি করেন। এদিকে পতেঙ্গা সমূদ্র সৈকত ( সী-বিচ)ঈদুল আযহা উপলক্ষে খোলে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা উচ্চ প্রশাসন তথা পর্যটন মন্ত্রী,জেলা প্রশাসন ও চসিক প্রশাসক-স্থানীয় মন্ত্রানলয়ের প্রতি সু-দৃষ্ঠি কামনা করেছেন দোকান মালিক সমিতির সদস্য মোঃকামাল উদ্দিন, তিনি আরো জানাই, সরকার আমাদের দীর্ঘ ৫মাসের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত আকারে দোকান চালাতে এবং বিনোদন স্পট খোলে দিয়ে বাঁচার সুযোগ দিলে কতৃাত্ব হব।
অপর ব্যবসায়ী পতেঙ্গা বার্মিজ মার্কেটের আতাউল করিম ও আব্দুল মতিন জানালেন, দীর্ঘ দিন দোকান বন্ধ থাকায় এখন আমারা দেনার( সমিতির ঋণ)দায়ে অনেকটা গা ডাকা দিয়ে চলাফেরা করছি। আর ৩/৪মাসের বিদ্যুত বিল.দোকান ভাড়া, পরিবারের খরচ যোগাতে কূল রাখি আর শেম রাখি অবস্থায় দিন যাপন করছি। যাকে বলা চলে হ্যান্ড টু মাউথ।তারা সবাই জোর দাবি করে বলেন, সরকার প্রধান আমাদের প্রকৃত অবস্থা বুঝে যদি পতেঙ্গা বিনোদন স্পট খুলে দেন তাইলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।”করোনাভাইরাস”মহামারি কালে পতেঙ্গা সমূদ্র সৈকত বা সী-বিচ এরিয়াতে দর্শনার্থী শূন্যাবস্থা প্রসঙ্গে, পতেঙ্গা থানার দায়িত্বরত সাব ইন্সপেক্টর(এস,আই) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, সিএমপি পুলিশ কমিশনার ,ডিসিপোর্ট এবং অফিসার ইনচার্জ’এর চূড়ান্ত নির্দেশনায় করোনা প্রতিরোধে চট্টগ্রামে কোথাও ঈদ উপলক্ষে জনসমাগম, সমবেদ এবং বিনোদন স্পটে ভিড় না জমাতে নগরীরবাসির প্রতি বিশেষ অনুরোধ পুর্বেই জানিয়েছেন। তার পরও কিছু দর্শনার্থী সী-বিচ এরিয়াতে ঘুরাঘুরি সহ আড্ডার জন্য আসলে তাদের বুঝিয়ে এবং অনুরোধ করে স্ব-স্ব অবস্থানে চলে যেতে বলি। ইহাতে মহামারি”করোনাভাইরাস” থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা রক্ষা পেতে পারেন । আর বিকেল ৩টার পর থেকে সৈকত এলাকায় ”রেড এলাট”জারি র কথাও জানান।
সৈকতের প্রবেশ পথে বিশাল নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দায়িত্ব পালন কালে এস আই হারুন জানান,ঈদ বিনোদন হলেও বৈশ্বিক করোনায় সবাই কে সুস্থ্য-সচেতন ওসুরক্ষার জন্য নিজ নিজ উদ্যোগে নিরাপদ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ও হান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বিশেষ ভাবে বলেন।আশার কথা হচ্ছে প্রতিবছর দুটি ঈদে এই পতেঙ্গা বীচ সহ আশা পাশের সকল পর্যটন গুলোতে দেশ-বিদেশী দর্শনার্থীর পদভারে মূখরিত খাকলেও এবারই প্রথম গোটা শহরের পর্যটন স্পট গুলোতে দর্শনার্থী শূন্যাবস্থায় কেটে গেল সময়। এতে করে এই খাত থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হল সরকার আর হতাশ দিন কাটছে ক্ষুদ্র-মাঝারি ওপাইকারী ব্যবসায়ীদের। সবার প্রত্যাশা সু-দিন আবার আসবে,হতাশা কেটে বিনোদন মূখর হবে পতেঙ্গা বীচ সহ চট্টগ্রামের সকল পর্যটন স্পট গুলো।
ছবি—আসাদুল ইসলাম,