চকরিয়ায় সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে  ঘর নির্মাণে বাঁধা প্রদানে উল্টো হামলা,  আহত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

 চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজার চকরিয়া  পৌরসভার  পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের  করাইয়াঘোনা এলাকায়  বসতভিটা জের ধরে  হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে ।  এ সময় তিনজন গুরুতর আহত হন ।  ছয় সেপ্টেম্বর  রবিবার  দুপুর দুই ঘটিকার সময় ঘটনাটি ঘটে।হামলায় আহতরা হলেন স্থানীয় করাইয়াঘোনা গ্রামের ছৈয়দ আলমের পূত্র মহিউদ্দিন লালু(লালু মন্ত্রী), মোঃ সোহেল ও স্ত্রী হামিদা বেগম গুরুত্বর আহত হয়ে চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক লালুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে   প্রেরণ করেন।
অপরদিকে হামলার এ ঘটনায় গতকাল রাতে চকরিয়া থানায় ছয় জনকে আসামি করে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন আহত  হামিদা বেগম। আসামিরা হলেন  আব্দুল গনির পুত্র  মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নুর হোসেন, আবুল খায়ের, নূর হোসেনের স্ত্রী  রকিয়া খাতুন, আবুল খায়ের  স্ত্রী  লাকি, আবু তাহেরের স্ত্রী হিরা মনি। সর্বসাং  করাইয়া ঘোনা, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড,  চকরিয়া পৌরসভা। আর্জিতে বাদিনী  জানান, চকরিয়া পৌরসভার করাইয়াঘোনা মৌজার আরএস ২৪ নং খতিয়ানের ২১৮ দাগের অধীন বিএস ১১৪ নং খতিয়ানের ৩৭২, ৩৭৩, ৩৭৪ ও ৩৭৬ দাগের মোট ২৮৫ কড়া বা ৯৫শতক জমির বৈধ দলিলপত্রমুলে মালিক তাঁর পরিবার।করাইয়াঘোনা মৌজার উল্লেখিত ৯৫শতক জমি আমাদের ওয়ারিশী সম্পত্তি। মুলত জাফর আলম ও তাঁর পরিবার আমাদের সম্পত্তি জোরপুর্বক দখলে রেখেছেন। এ ঘটনায় চকরিয়া পৌরসভায় একটি মামলা বিচারধীন আছে।উল্লেখিত জমিতে  জোরপূর্বক  বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ  কাজ চালায়। উক্ত কাজে  বাধা প্রদান করলে  ক্ষিপ্ত হয়ে  হাতুড়ি, দাঁড়ালো  কিরিস ও  লাঠিসোটা নিয়ে মারধরে আমার পরিবারের দুই নারীসহ পাঁচজনকে গুরুতর জখম হয়। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে  বাদিনীর  পুত্র আজিম উদ্দিন বলেন, তিনি অভিযোগ করে বলেন, জাফর আলম গং চকরিয়া পৌরসভার বিচারের রায় হবার আগে জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে আমরা বাঁধা দিয়েছি। আমরা আমাদের সম্পত্তি ফিরে পেতে চাই। এ ঘটনায় করাইয়াঘোনা এলাকার আহত হামিদা বেগম বলেন-আমার স্বামীর  উত্তরাধিকারে পাওয়া করাইয়াঘোনা মৌজার বিএস ১১৪ অন্তরে  দাগের জায়গা ভোগ দখলে আছি। আজ রবিবার ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১ঃ৫০ টায় আলী আকবর গং উক্ত জমিটি দখল করে ঘর নির্মান করতে থাকে, তাতে আমরা বাঁধা দিলে টুনু মিয়ার পুত্র নুরুল হোসেন, জসিম উদ্দি, আবুল খায়ের লম্বা কিরিচ,দা,লোহার রড় দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমাদের মা,ছেলেকে মারাত্মক জখম করে। তিনি আরো বলেন,চকরিয়া পৌরসভাৱ মেয়রের কাছে বিচারাধীন  রয়েছে।  উক্ত নালিশ উপেক্ষা করে দখলে  নেয়ার জন্য এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে জানান। এ বিষয়ে  চকরিয়া  থানার  অফিসার  ইনচার্জ  মোঃ হাবিবুর রহমান  বলেন,  জায়গা বিরোধ  নিয়ে মারামারি  বিষয়ে অবগত হওয়ার পর জানতে পারি  উভয় পক্ষের লোকজন  আহত হয়েছে। এ বিষয়ে  উভয় পক্ষ  দুইটি  অভিযোগ  দায়ের করেছেন। বিষয়টি  তদন্ত করার জন্য  এস আই ইসমাইল কে  নির্দেশনা প্রদান করি। ঘটনাটি   নিরপেক্ষ তদন্তেৱ  মাধ্যমে  আইনানুগ ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হবে  বলে  তিনি জানিয়েছেন।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত