
কমল চক্রবর্তীঃ
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৯ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৯৪,০০০ টাকা (চুরানব্বই হাজার টাকা) প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ঘষামাজা করা পণ্য, নকল চেরি, মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয় ও অননুমোদিত রং ধ্বংস করা হয়।
আজ সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা হতে এপিবিএন, ৯ এর সহায়তায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতয়ালী ও ডবলমুরিং থানা এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে কোতোয়ালি থানার আন্দরকিল্লার জগন্নাথ মিষ্টি ভান্ডারকে লেবেল বিহীন কেক, চানাচুর, বিস্কুট, দই ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ডবলমুরিং থানার সিডিএ কর্ণফুলী মার্কেটের মিরসরাই ট্রেডার্স ৩,০০০ টাকা বাগদাদ স্টোরকে ৩,০০০ টাকা ইমন ট্রেডার্সকে ৩,০০০ টাকা জাকির হোসেনের সবজির দোকানকে ৩,০০০ টাকা খাজা গরীবে নেওয়াজ স্টোরকে ২,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার খায়রুল সওদাগরের দোকানকে অননুমোদিত রং রাখায় ৫,০০০ টাকা জরিমানা করে বর্নিত রং ধ্বংস করা হয়।
অন্যদিকে বাদামতলী মোড়ের সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটের পৌষি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে অননুমোদিত রং, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, নকল চেরি রাখায় ১০,০০০ টাকা জরিমানা করে বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়। আরিফ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যের মেয়াদ ঘষামাজা করে ও স্ট্রিকার দিয়ে ঢেকে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় এবং উৎপাদন-মেয়াদ বিহীন পণ্য রাখায় ৬০,০০০ টাকা জরিমানা করে বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করে দেয়া হয়। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।