চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, এম.এ সাত্তারঃ
বাঁশখালী উপজেলা সদরে বাঁশখালী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ফাতেমা নামের এক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রসব হয়। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তৌহিদুল আনোয়ার জানান৷ সুষ্ঠুভাবে বাচ্চা ডেলিভারি হয়েছে এবং বাচ্চা ও বাচ্চার মা উভয় সুস্থ আছে)। তবে ফাতেমা ও তার পরিবার মানসিকভাবে ভেংগে পরেছেন।এই ব্যাপারে প্রশাসন কে আমরা অভিহিত করেছি,ফাতেমার সাথে কথা বললে সে বলে, আমি আত্মহত্যা করব। এই বাচ্চা আমি রাখবোনা, এই বাচ্চার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে এর দায়ভার নিতে হবে এবং আমি প্রশাসনের সকল ধরনের সহযোগিতা কামনা করছি।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা ও নেজাম উদ্দিন জানায় আজ থেকে ১০ মাস আগে ফাতেমা আক্তার পাহাড়ে ঘাস কাটতে যায় তখন নেজাম উদ্দিন,মান্নান,মিনার প্রকাশ (সোনা মিয়া) তারা তিনজন পর্যায়ক্রমে ফাতেমা আক্তার কে ধর্ষণ করে। তবে নেজাম উদ্দিন এই ঘটনার সবকিছু মাথা পেতে নিবে বলে স্বীকার করছে।
বাঁশখালী থানা সেকেন্ড অফিসার মাসুদ রানা জানায় বাচ্চা প্রসবের ঘটনা শুনার পরপরই আমরা হাসপাতালে গিয়ে নেজাম উদ্দিন নামের এক ধর্ষককে আটক করি এবং মেয়ে ও তার মা থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে বাকি দুইজন কে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্তা করব। এছাড়া বাঁশখালী থানা কর্তৃক ফাতেমা আক্তার ও তার প্রসবকৃত মেয়ের জন্য যেকোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করব।